লোকসভার ভোট ২০২৪ সালে। যদিও এখনো দিনক্ষণ ঘোষনা হয়নি। অন্যদিকে সদ্য সমাপ্ত কয়েকরাজ্যে বিধান সভা ভোটে বিজেপির জয়জয়কার, সংসদে মহুয়া মিত্রের সাংসদ পদ খারিজ। সব কিছু নিয়ে দেশ ও রাজ্যের রাজনীতি উত্তাল।
ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ সফরে পৌঁছে গেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে জনসংযোগে ব্যাস্ত তৃনমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা বললেন
গত ভোটের আগে বিজেপি চা-বাগান শ্রমিকদের একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিল। ‘আবার ভোটের আগে আসবে।’ কিন্তু এই ধরনের প্রতিশ্রুতি স্রেফ কথার কথা। চা-বাগান শ্রমিকদের সাথে আদিবাসীদের জন্যও একাধিক ঘোষণা করেছিল ছিল নেতারা।সবই শুধুই কথা হয়ে আছে। তিনি এদিন জোর গলায় বলেন ‘আদিবাসীদের নামে যারা ভুয়ো সার্টিফিকেট করিয়েছেন, সেই সব ভুয়ো শংসাপত্র বাতিল করবে তৃনমূল সরকার।’ কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চনার অভিযোগও শোন যায় তাঁর মুখে। মমতার অভিযোগ, অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দিয়েছিল। ‘আমরা বিজেপি নই, প্রতিশ্রুতি দিলে পূরণ করি। বিজেপি কথা দিয়ে কথা রাখে না’, আলিপুরদুয়ারে দাঁড়িয়ে দাবি তাঁর। সঙ্গে বলেন, ‘কেন্দ্র বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে না, আমরা দিচ্ছি।’ আসলে ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা, সর্বত্র কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ।
প্রধান মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে মন্তব্য
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছি।’ ওই সাক্ষাতে তিনি যে বাংলার প্রাপ্য বকেয়া দেওয়ার কথা বলবেন, সেটিও আরও একবার মনে করান তৃণমূলনেত্রী। তাঁর হুঙ্কার, ‘হয় বাংলার টাকা দাও, নয় গদি ছাড়ো।’
পাহাড়ের উন্নয়ন প্রসঙ্গে
দুদিন আগে কার্শিয়ঙের সভা থেকে পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য একাধিক ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। জিটিএ-কে আরও ৭৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য। ২৪ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাবও দেন তিনি। এদিন উত্তরবঙ্গের জন্য একাদিক জনমুখি প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এদিন শোনা যায়।
পাট্টা বিলি
‘আলিপুরদুয়ার-জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ি মিলিয়ে এই যাত্রায় ১৩ হাজার জমির পাট্টা দেওয়া হবে। বলে জানান নেত্রী। শুধু তাই নয়, তিনি বলেন , ‘পাট্টার সঙ্গে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। বাড়ি করে নিতে পারবেন।’
বিশেষজ্ঞদের মত
আর কয়েক মাস পরেই লোকসভা নির্বাচন। আর ঠিক তার আগে, উত্তরবঙ্গে দাঁড়িয়ে চা বাগান শ্রমিক, আদিবাসীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর একের পর এক ঘোষণা আসলে ভোটকে মাথায় রেখেই।