
রবি আড্ডায় শ্রাবনী ভট্টাচার্য্য
আচ্ছা ধরো তুমি আর আমি যদি
একই স্কুলে চাকরি করতাম
ব্যপারটা কেমন হতো?
একদম বাজে।
কেন?
কেন আবার?
সারাদিন একই মুখ,একই ঘটনার সাক্ষী
আসা যাওয়া,ওঠা বসা।
মাগো মা!
চুটিয়ে তোমার নিন্দে করতাম কেমন করে?
কেমন করে কলিগদের সাথে
অকারনে তর্ক বিতর্ক করে
আসলে তোমার উপর রাগটাই ঝাড়তাম?
অভিমান হলে কেমন করে লুকিয়ে কাঁদতাম!
কেমন করে খানিক একা হতাম
মেঘলা আকাশ দেখার জন্য?
দু ছত্র লেখার জন্য
তোমাকে আবার নতুন করে পাওয়ার
সুতীব্র আকাঙ্খায় সবুজ ঘাসের উপর
একলাই হেঁটে বেড়াতাম
কৈফিয়ৎ ছাড়াই!
বেশি কাছাকাছি আসলে
দুটো পাথরের মাঝেও শ্যাওলা জমে।
নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়
কাঁধের উপর ওজন থাকলে
ওজনটাকেও যথাসময়ে নামিয়ে দিতে হয়।
একটুখানি হলেও একটা ফাঁক দরকার
যে ফাঁকের মধ্যে দিয়ে
হাওয়া খেলে নিয়মিত
আলো আসে,চাঁদ চুমু খায়।
নিজের অক্ষের মধ্যে ঘুরতে জানে মহাজাগতিকেরাও
তাই তো ছন্দে চলে ওদের কাছে আসা,দূরে যাওয়া
তবেই তো পৃথিবীর ঋতু পরিবর্তন
ফ্যাকাশে হতে হতেও বর্ণময় রাখে,এই বেঁচে থাকা।