রবি আড্ডায় শ্রাবণী ভট্টাচার্য

প্রিয় লেখক

বেশ কিছুটা দেরিতে হলেও শেষ করলাম হয় না ফেরা শেষ পর্যন্ত। কালকে রাতেই শেষ করেছি পাঠ।বুলবুলির চিতার আগুন যেমন নিভেও নেভে নি,আমারও পাঠের আবেশ এখনও পুরদস্তুর বর্তমান। বাংলাদেশ নিয়ে আমার কোন আবেগ নেই।কিন্তু ভিটা মাটি ছেড়ে আসা মানুষের অপরিসীম যন্ত্রনার প্রতি আমার গভীর মমত্ববোধ আছে। আসলে সেই অর্থে কোন দেশই কি আমার!! প্রশ্নটা থেকেই যায় যখন তা রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রনৈতিক ভাগ‍্য বিধাতাদের হাতের দিক র্নিদেশ মাত্রে পরিবর্তনের সাপেক্ষে র্নিভর করে। আমার কষ্ট হয় বুলবুলির জন‍্য। লেখক জানবেন মেয়েদের অবস্থা কিছুটা পালটালেও মূল ভিতটা এখনও একই রকম আছে,বিশেষ করে অসুন্দর,কালো মেয়েদের সামাজিক অবস্থান। আপনার লেখায় বর্নিত মুক্তি যুদ্ধের বর্ননায় শিহরিত হয়েছি আবার এটা ভেবেও কষ্ট পেয়েছি যে স্বপ্নের জন‍্য এত প্রান নিবেদিত হয়েছে সেই স্বপ্ন বোধহয় পদ্মা,মেঘনার জলে ভেসে গেছে। বুলবলি কোনদিন মৃগাঙ্কর হাতে হাত দিয়ে করতোয়ার পাশ দিয়ে হাঁটে না। বলবুলি একটা আস্ত দেশকে বুকের মধ‍্যে নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছিলো। বুলবুলি হবে আমার কবিতার সেই মেয়ে যাকে আমি মৃগাঙ্কর সাথে পলাশ শিমূলের ফাগে রাঙাবো। Deconstructive writing তো করাই যায় বুলবুলির জন‍্য। আপনার লেখার চরিত্ররা অনেকেই আমার নিজের জন‍। হীরেন ভট্টাচার্য,দিব‍্যেন্দু, পন্ডিতমশাই,দিব‍্যেন্দুর স্নেহশীলা মা সবাইকে আবারো ছুঁয়ে দেখলাম। ঐ তো দেবেশকাকু সাইকেল নিয়ে চন্ডীতলা বাজারের দিকে যাচ্ছেন। হীরেন ভট্টাচার্য্য এখন দুই শিফটের ডিউটি করে ঘুমিয়ে পড়েছেন। শুভেন্দু রায় এখন ক্লান্ত। তার ঋজু শরীর আর স্মিত হাসি আমার মনে আছে।আপনার লেখার আবেশের মধ‍্যে থাকবো আরো কিছুকাল। কথা দিলাম বুলবুলিকে আমি আমার মতো করে মৃগাঙ্কর সাথে মিলিয়ে দেবো।ভালোবাসা হারানোর যন্ত্রনা যে কি নিদারুন!!

নমস্কার জানবেন।
ইতি
টেলিফোন এক্সচেঞ্জের হীরেন ভট্টাচার্য্যের কন‍্যা।

By nb24x7

দিনদুনিয়ার খাসখবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *