মাসখানেক আগে অযোধ্যা স্টেশনে সরযূ এক্সপ্রেসের কামরা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল এক মহিলা কনস্টেবলকে। তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ছিল দুস্কৃতিরা।যাকে আত্মরক্ষার জন্যে সিটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় লুকিয়ে থাকতে দেখে গোটা দেশ।বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই মহিলা পুলিশকর্মী। তারপরই সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। খোঁজ পেয়েই তাঁকে এনকাউন্টার করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে পুলিশের হাতে ধরা পড়বার আগে গুলি চালাতে শুরু করেন আনিস। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। অযোধ্যা পুলিশের অন্যতম শীর্ষ পদাধিকারী রাজ করণ নায়ার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, আক্রান্ত পুলিশ কনস্টেবল অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করার পরে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। অযোধ্যা পুলিশ এবং বিশেষ টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের সঙ্গে অভিযুক্তদের গুলি বিনিময় চলাকালীন অভিযুক্ত গুরুতর জখম হন বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশকর্তা। কিছু সময় পরেই মৃত্যু হয় তাঁর।তার অপর দুই সঙ্গী আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অপরদিকে মহিলা কনস্টেবলের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্বতোঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, একটি সিটে বসা নিয়ে মহিলা পুলিশকর্মীর সঙ্গে বচসায় জড়ায় অভিযুক্ত তিনজন। এরপরই তাঁরা কনস্টেবলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেন। ঘটনার প্রায় একমাস পর পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হল মূল অভিযুক্ত।