নিউজডেস্ক: বাম কংগ্রেসের উপর হামলায় ঘটনায় গুলিবিদ্ধ মনসুর আলমের মৃত্যু হল বুধবার ভোরে৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বেই এনিয়ে মৃত্যু হল ৮ জনের। এদিন শিলিগুড়ির বেসরকারি একটি নার্সিংহোমে মারা যান মনসুর আলম। তার মাথায় গুলি লেগেছিল। এতদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে জীবন যুদ্ধে হেরে গেল মনসুর। তার অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়।

এই হত্যার কান্ডের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সিপিএমের কর্মী সমর্থকেরা৷ সিপিএমের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মনোনয়ন জমার শেষদিনে এলোপাথাড়ি গুলি ও বোমাবাজি করে তাদের মিছিলে। বেশকয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। বিডিও অফিসে আসার পথে কাঁঠালবাড়ি এলাকায় এই সশস্ত্র হামলা মনোনয়ন বাধা দেওয়ার পূর্ব পরিকল্পনা ছক ছিল তৃণমূলের। নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেবে।

উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পায়ে হেঁটেই মনোনয়ন জমা দিতে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন কাঁঠালবাড়ি এলাকার সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রার্থী ও দলীয় নেতা কর্মীরা৷ সেসময় তাদের ওপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সশস্ত্র হামলা চালায় বলে অভিযোগ। চলে এলোপাথাড়ি গুলি৷ ঘটনায় বেশকয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়৷ তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ তারমধ্যে একজনের অবস্থা সংকটজনক থাকায় তাকে স্থানান্তরিত করা হয় শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্র করে মনোনয়ন পর্বে এমন ভয়াবহ সন্ত্রাসে কার্যত কেঁপে ওঠে গোটা রাজ্য। শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয় বিরোধীরা৷ মনোনয়ন পর্বেই যদি এমন হাড়হিম করা সন্ত্রাসের মুখোমুখি হতে হয় বিরোধীদের তাহলে গণতন্ত্র কোথায় গেল তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন৷

https://youtube.com/shorts/H3IUK0DTcuw?feature=share

বাম কংগ্রেসের ওপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের গত শুক্রবার ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তার মধ্যে ৮ জন কে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিল পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের ধারা যুক্ত করার পাশাপাশি শাস্তির দাবি তুলেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা৷ তাদের দাবি, মনসুর আলম সিপিএমের সমর্থক ছিল। দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গেই সেদিন মিছিলে গিয়েছিল। পথেই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা৷

By nb24x7

দিনদুনিয়ার খাসখবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *