নিউজডেস্ক: গত বুধবার আততায়ীর হাতে নৃশংসভাবে খুন হন পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মোহাম্মদ রাহি। দুপুরে পঞ্চায়েত অফিস থেকে অপর এক পঞ্চায়েত সদস্য মহ: মুস্তফাকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে প্রথমে তার ওপর গুলি করে দুস্কৃতিরা। কোনক্রমে বাইক ঘুরিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। তবুও শেষরক্ষা হয়না।আততায়ীরা দুটি বাইকে চারজন তাকে টপকে তার সামনে পথ আটকে গুলি করে এবং তার বাঁচার আর কোন সম্ভাবনা নেই নিশ্চিত করে বিহারের রাস্তা ধরে পালিয়ে যায়।
প্রতক্ষদর্শীদের কাছে জানা যায়, আততায়ীরা কালো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে ছিল এবং মাথায় কালো হেলমেট পড়ে ছিল হাতে কালো গ্লাভস ছিলএবং বাইকের কোন নম্বর প্লেট ছিলনা ।
ঘটনার পর রাহিকে কিশানগঞ্জ লায়েন্স ক্লাব নার্সিং হোমে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে শিলিগুড়িতে রেফার করেন। শিলিগুড়ির নেউটিয়া নার্সিং হোমের মুখে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে গোয়ালপোখর থানার পুলিশ। পুলিশ প্রথমে প্রধানের সাথে থাকাবাইক আরোহী মহ: মুস্তাফাকে আটক করে জিজ্ঞেসবাদ করে এবং বৃহস্পতিবার রাত নটা নাগাদ তাকে গ্রেফতার করে শুক্রবার সকালে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে কোর্টে পাঠায়।
কিন্তু, পঞ্চায়েত প্রধানের প্রকৃত খুনী এবং খুনের মোটিভ এখনো পুলিশ প্রশাসন জনসমক্ষে নিয়ে আসতে পারেনি।এই কারণে পঞ্চায়েত বন্ধ রেখে পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করছে পঞ্চায়েতের বাকী সদস্যরা। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত কারণ এবং খুনি ধরা না পড়বে ততক্ষণ তারা পঞ্চায়েত অফিস যাবেন না। তাদের পুলিশ প্রশাসন এর উপরে সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে। যদি কোন কারনে পুলিশ প্রকৃত খুনিকে ধরতে না পারে তবে মন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়ে সিআইডি তদন্তের জন্য আবেদন করবেন। তবে, সাধারণ মানুষের পুলিশের উপরে আস্থা আর নেই তারা চান তাদের প্রধানের খুনের তদন্তভার সিবিআই কে দেওয়া হোক।
