নিউজডেস্ক: ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে হাইব্রিড সিসিইউ চালু হওয়ার পর প্রায় এক মাস থেকে তালাবন্ধ অবস্থায় পরে রয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘটা করে এপ্রিল মাসে উদ্বোধন করেন এই ইউনিটটির। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নিয়োগ না করে চালু করা হয় ওই ইউনিট। ফলে একজন মাত্র চিকিৎসক দিয়ে কোনক্রমে চলছিল কাজ।।সূত্রের খবর প্রায় মাসখানেক আগে একজন রোগী মারা গেলে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ আনলে অচল অবস্থায় সৃষ্টি হয় তারপর থেকে বন্ধ রয়েছে ওই ইউনিটটি।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ১ তারিখে হাইব্রিড সি সি ইউ ছয়টি বেড নিয়ে যাত্রা শুরু করে। তবে হাইব্রিড সিসিইউতে ১২ টি বেড রয়েছে। সেখানে ভেন্টিলেশন ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার সাপোর্টের সুবিধা রয়েছে। ফলে হাসপাতালে সিসিইউ বেডের সমস্যা মিটলেও চিকিৎসকের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে ওই ইউনিট।
স্থানীয় বাসিন্দা রঘুপতি মুখার্জি বলেন শুধু ঘটা করে উদ্বোধন করলেই হবে না প্রয়োজন উপযুক্ত চিকিৎসক ,নার্সিং স্টাফ এবং সহযোগী কর্মী। ইসলামপুর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তিনি আবার রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের রুগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ও বটে কিন্তু রুগীর পরিষেবা এবং সমস্যা সমাধানের কোন প্রচেষ্টাই তার মধ্যে নেই। নইলে হাইব্রিড সি সি ইউ এক মাস থেকে তালা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে তা মানা যায় না। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল বিহার, নেপাল এবং মহকুমার ৫-৬ টি ব্লকের মানুষ। সেখানে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইউনিট পড়ে রয়েছে ।সত্যি দুঃখজনক।
অপর বাসিন্দা সুভাষ চক্রবর্তী বলেন হাসপাতালে ওই ইউনিটটি মাস খানেক থেকে পড়ে রয়েছে ।।অনেক গুরুতর সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসেন রোগীরা । তাদের ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন পড়ে। ওই ইউনিট বন্ধ থাকায় ফের ছুটতে হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। দ্রুত ওই ইউনিট টি খোলার দাবি তোলেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা সুজন পাল বলেন রোগীদের শিলিগুড়ি নিয়ে গেলে হয়রানির শিকার হন রোগীর পরিবাররা ,কিন্তু সরকার এসব নিয়ে ভাবেই না
বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সহ-সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, একটা হাসপাতাল পরিচালনা করার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত গাফিলতি দেখাচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর তার জন্য দায়ী রোগী কল্যাণ সমিতি ও স্বাস্থ্য দপ্তর।
এদিকে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কানাইলাল আগরওয়াল বলেন একজন চিকিৎসক দিয়ে আমরা ওই ইউনিটটি চালু করেছিলাম কিন্তু একটি ঘটনা ঘটার পর ওই চিকিৎসক একা কাজ করতে রাজি হচ্ছেন না ফলে সমস্যা তৈরি হয়েছে ।।আমরা বিষয়টি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছি ।অনেক মুমূর্ষু রোগী উন্নত মানের পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। চিকিৎসক ও নার্সের সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে।বিভাগের চিকিৎসক নার্স ও সাফাই কর্মী পেলে চালু করে দেওয়া হবে।