নিউজডেস্ক:কন্যা সন্তানের জন্মের পর থেকেই বধূর সাথে অশান্তি করতো পরিবার। সমস্যা সমাধান করার লক্ষে একাধিকবার দুই পরিবার বসে আলোচনা করলেও অবস্থার উন্নতি হয় নি। উল্টে বাবা মা হারিয়ে ফেললেন তাদের মেয়েকে।এদিন পুকুর থেকে উদ্ধার হয় তরুনা খাতুনের মৃতদেহ। বধূর বাড়ির লোকের দাবি মেয়েকে মেরে ফেলেছে জামাই ফরিদ আলম। ঘটনায় অভিযুক্ত জামাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে থানায় বিক্ষোভ দেখায় মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনের। ঘটনাকে ঘিরে থানা চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার জাগিরবস্তি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছর আগে তরুনা খাতুনের সাথে ফরিদ আলমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের এক কন্যা সন্তান জন্ম হয়। কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ার পর থেকেই তরুনা খাতুনের উপর অত্যাচার শুরু করে তার শশুর বাড়ির লোকজন । এ নিয়ে একাধিক বার দুই পক্ষ বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। কিন্তু তরুনার উপর অশান্তি কম হয়নি। আজ সকালে তরুনা খাতুনের পরিবারের লোকজনদের জানানো হয় তার মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর এলাকার একটি পুকুর থেকে তরুনা খাতুন নামে ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই থানায় হাজির হন ওই গৃহবধূর পরিবারের লোকজন। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তরুনা খাতুনের পরিবারের লোকজনেরা। ঘটনা ঘিরে চোপড়া থানার সামনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যদিকে অভিযুক্ত স্বামী ফরিদ আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে করা শাস্তির দাবি তুলেছেন মৃত ওই গৃহবধূরর পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।