বর্তমান সময়ে বাবা মায়ের ব্যস্ততা, কিছু ক্ষেত্রে পরিবারে অন্য কারোর উপস্থিতি না থাকায় বাচ্চারা সঙ্গী হীনতায় ভোগে। তার ওপর বাবা মায়ের অত্যধিক প্রত্যাশা বাচ্চাদের যেনো দম বন্ধ করে আনে। তারা খেলার সুযোগ পায় না। দেখা যায় বহুক্ষেত্রে স্কুলে গেলেও বাচ্চারা সকলের সাথে মেলামেশা করতে পারে না।
যার ফলে বাচ্চাদের মানসিক বিকাশে প্রভাব পরে। অন্যদিকে বাবা মায়েরা ঝুটঝামেলা থেকে বাঁচতে বাচ্চাদের হাতে ছোট্ট বেলা থেকে মোবাইল ফোন ধরিয়ে দেয়। যার ফলে না চাইলেও বাচ্চারা মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পরে। এমতাবস্তায় বাচ্চাদের পড়াশোনার ওপর প্রভাব পরে।
তবে আপনি চাইলেই আপনার সন্তানকে কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করে পড়ার প্রতি মনোযোগী করে তুলতে পারবেন। আপনার সন্তানও তার লেখাপড়াকে ভালোবাসতে শুরু করবে।
তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক সেই পদ্ধতি যা আপনার অনেক দিনের সমস্যা দূর করবে।
১) নির্ধারিত সময়ে পড়াতে বসান আপনার সন্তানকে।
২) পড়াবার সময় ফোন টিভি থেকে দূরে উপযুক্ত পরিবেশে পড়ান সন্তানকে।
৩) পড়ানোর সময় বকাবকি না করে মন খুলে হাসি খুশি ভাবে পড়ান
৪) বাচ্চার যাতে পড়ার ভীতি না জন্মায় তার জন্য মারধরের বদলে বুঝিয়ে প্রশংসা করে পড়ান।
৫) এক নাগাড়ে বেশি সময় সন্তানকে বইএর সামনে বসিয়ে রাখবেন না। বিরতি দিন।
৬) সন্তান কিছু বলতে চাইলে মন দিয়ে শুনুন। তাকে বুঝতে দিন আপনি তার কথা শুনতে আগ্রহী। পরিবর্তে দেখবেন সেও আপনার কথা শুনছে।
৭) বাচ্চা কখনো কম নম্বর পেলে তাকে অসম্মান করবেন না। কারোর সাথে তুলনা করবেন না।উল্টে তাকে উৎসাহিত করুন যাতে সে ভবিষ্যতে ভালো ফল করে।
৮) বাচ্চাকে শেখানোর প্রতি মনোযোগী হন। বাচ্চা শিখলে নম্বর এমনিই পাবে।
বাচ্চাদের ছোটো মনে কোনো কিছু প্রতি ভীতি ঢুকে গেলে তা খারাপ প্রভাব ফেলে। তাদের কোমল মনে আঘাত তারা খুব ভালো ভাবে নিতে পারে না। তাই পড়াশোনায় মনযোগী করানোর আগে নিজেকেও তৈরি করুন। আর সব সময় মনে রাখবেন আপনার সন্তানের বয়সে আপনি কতটা চাপ নিতে পারতেন! পদ্ধতি গুলো মেনে চললে কিছু দিনের মধ্যেই ফলাফল দেখতে পারবেন।
আরো জানতে আমাদের ফেসবুক লিঙ্ক ও ওয়েবসাইট ভিজিট করুন, লাইক ও শেয়ার করুন।