চাঁচলের মালতীপুরে গুলি, বোমাবাজি করে ডাকাতি ও সিভিক ভলান্টিয়ার খুনের ঘটনার দুই দিনের মধ্যে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে মতিউর রহমানের বাড়ি রতুয়ার বিজলি ও উজিরের বাড়ি ভাদো এলাকায়। তবে স্থানীয় ওই দুষ্কৃতী ছাড়াও ডাকাতির ঘটনায় বিহার ও ঝাড়খন্ডের দুষ্কৃতী এই ডাকাতির সাথে জড়িত বলে হন।দেহ পুলিশের। বৃহস্পতিবার ধৃতদের চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ঘটনার দুদিন বাদে নজিরবিহীন ঘটনার 

মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘‘দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’

মঙ্গলবার রাতে মালতীপুরে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করে একদল দুষ্কৃতী। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পারে, ভিতরে ঢুকেছিল তিন জন। বাইরে আরও পাঁচ জন ছিল বলে পুলিশের সন্দেহ। চারটি বাইকে আট দুষ্কৃতী ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। দোকান মালিক ও কর্মীকে মারধর, গুলি ও এলাকায় বোমাবাজি করে পালানোর সময় ১৪ কিলোমিটার দূরে দুষ্কৃতীদের আটকান সিভিক কর্মী মোমিনুল হক। কিন্তু দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। 

খবর পেয়ে চাঁচল, রতুয়া, পুখুরিয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ চারদিকে নাকা তল্লাশি শুরু করে। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাতে মাঠ থেকে নম্বরপ্লেটহীন একটি বাইক উদ্ধার করে পুখুরিয়া থানার পুলিশ। বাইকটি যে উজিরের তা পুলিশ জানতে পারে। বাড়ি থেকে তাকে ধরার পর জেরা করে মতিউরের নাম জানতে পারে পুলিশ। পুখুরিয়ার টারি পরানপুরে শ্বশুরবাড়িতে তার খোঁজ মেলে। একসময় অসামাজিক কাজকর্ম করলেও আপাতত মাছের ব্যবসা করত মতিউর।

By nb24x7

দিনদুনিয়ার খাসখবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *