নিউজডেস্ক: গতকাল রাতে মাখনা বোঝাই লরির চালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ২২ হাজার টাকা ছিনতাই করে আততায়ীরা। আহত রক্তাক্ত লরি চালককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে পুলিশের কাছ আহত লরি চালক লিখিত অভিযোগ করে। সেই ঘটনায় ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। ধৃত তিনজনই শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তার মধ্যে একজন আইএনটিটিউসির অঞ্চল সভাপতি। যদিও ধৃত অঞ্চল সভাপতির দাবি দলের মধ্যে থেকেই তাকে ফাঁসানো হয়েছে এই ঘটনায়।এই ছিনতাইয়ের ঘটনা যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় ।হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার হরিশ্চন্দ্রপুর সদরের মাখনা ব্যবসায়ী বসন্ত কেডিয়ার কাছ থেকে মাখনা বোঝাই করে একটি লরি লখনৌর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাত ১০:৩০ নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর কিরণবালা বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে বাইকে করে তিনজন এসে লরিটিকে আটকায়।
লরি চালক মধু সিং এর কাছে টাকার দাবি করে।চালক টাকা দিতে না চাইলে লরি থেকে নামিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকি ধারালো ছুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয় বা কানের পাশে। তারপরেই চালকের কাছে থাকা নগদ ২২ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয় তিনজন। স্থানীয়রা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় খবর দিলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেওদূত গজমেরের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। আহত লরি চালককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে।
সেখানে তার চিকিৎসা হয়। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয় সুন্দর দাস(৩৮), শেখ রাসুল(৩২), রণবীর দাস (৩২)। তিনজনেরই বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায়। রণবীর দাস হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল আইএনটিটিইউসির সভাপতির দায়িত্ব রয়েছেন। বাকি দুইজনও সক্রিয় ভাবে শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। আইন আইনের পথে চলবে সমগ্র ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে সাফাই তৃণমূলের। যদিও রণবীর দাসের দাবি দলের মধ্যে থেকেই তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। শনিবার ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। যদিও এখনো ছিনতাই হওয়া ২২ হাজার টাকা ও সেই অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি।
ধৃত আইএনটিটিইউসির অঞ্চল সভাপতি রণবীর দাস বলেন, আমি এই ঘটনার সঙ্গে কোনো ভাবেই যুক্ত নই। দলের মধ্যে থেকেই আমাকে কেউ ফাঁসিয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক আইএনটিটিউসির সভাপতি সাহেব দাস বলেন, যারা গ্রেপ্তার হয়েছে প্রত্যেকেই ভালো ছেলে বলেই জানি। পুলিশ সমগ্র ঘটনা তদন্ত করে দেখুক। এর আগে এদের নামে এই ধরনের কোন অপবাদ নেই। যদি সত্যিই এমন হয়ে থাকে তবে দল কঠোর পদক্ষেপ নেবে।