রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বারবা কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠছে । আর সেই অভিযোগের মাঝেই ED  ডানা ছাঁটল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এদিন দেশের  শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বিশেষ আদালতে মামলা গৃহীত হলে অভিযুক্তকে সরাসরি গ্রেফতার করতে পারবে না ED। এ ব্যাপারে ED কে  আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।

অভিযুক্তকে হেফাজতে পেতে চাইলে বিশেষ আদালতের অনুমতি নিতে হবে ED-কে

বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে  বিচারপতি এএস ওকা এবং ঊজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চের তরফে  বলা হয়,  “বিশেষ আদালতে বিষয়টি গৃহীত হলে ED এবং তাদের আধিকারিকদের আর ১৯ নং ধারায় ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতা থাকে না। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারে না তারা। অভিযুক্ত যদি তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকলীন  হাজিরা দিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে তাঁকে হেফাজতে পেতে চাইলে বিশেষ আদালতের অনুমতি নিতে হবে ED-কে।”

উঠে এসেছে PMLA -র ১৯ নং ধারার কথা

এদিন বিচারপতিরা আরো  জানিয়েছে, এর পরও যদি ED ওই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যেতে চায়, অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত হিসেবে নাম না থাকলেও কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারে তারা, তবে সেক্ষেত্রে অভিযোগ দায়ের হতে হবে আগেই, যার উল্লেখ রয়েছে PMLA-র ১৯ নং ধারায়। ৪৪ নং ধারায় অভিযোগ দায়ের করার আগে পর্যন্ত যদি ED অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করে থাকে, সেক্ষেত্রে আদালত অভিযুক্তের নামে সমন জারি করতে পারে, তবে ওয়ারেন্ট নয়। এমনকি যে মামলায় অভিযুক্ত জামিনে মুক্ত আছেন, সেক্ষেত্রেও সমন জারি আবশ্যক। 

২০৪ নং ধারায় সময় জারির পর অভিযুক্ত বিশেষ আদালতে উপস্থিত হলে জামিনের আবেদনের প্রয়োজন নেই

২০৪ নং ধারায় সমন জারি করার পর অভিযুক্ত যদি বিশেষ আদালতের সামনে হাজিরা দেন, সেক্ষেত্রে তিনি হেফাজতে রয়েছেন বলে মনে হয় এমন আচরণ করা যাবে না। তাই সেক্ষেত্রে জামিনের জন্য আবেদন করারও প্রয়োজন নেই তাঁর। বিশেষ আদালত তাঁকে ৮৮ ধারায় বন্ড প্রদানের নির্দেশ দিতে পারে। এমনকি উপযুক্ত কারণ দেখালে বিশেষ আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সশরীরে হাজিরা দেওয়া থেকেও অব্যাহতি দিতে পারে। 

সমন পেয়ে অভিযুক্ত হাজিরা না দিলে সেক্ষেত্রে ৭০ নং ধারায় ওয়ারেন্ট জারি করতে পারে বিশেষ আদালত।

সমন পেয়েও যদি অভিযুক্ত হাজিরা না দেন, সেক্ষেত্রে ৭০ নং ধারায় ওয়ারেন্ট জারি করতে পারে বিশেষ আদালত। প্রথমে জামিনযোগ্য ধারায় ওয়ারেন্ট জারি করতে হবে। কোনও কারণে তা সম্ভব না হলে, তবেই জামিন অযোগ্য ধারায় ওয়ারেন্ট জারি করতে পারবে আদালত। হেফাজতে না থাকা অভিযুক্তের থেকেই বন্ড নেওয়া যাবে। আদালত চাইলে ওয়ারেন্ট বাতিলও করতে পারে। আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রেও এ নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। গ্রেফতারির পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁর আইনজীবী।

By nb24x7

দিনদুনিয়ার খাসখবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *