চোরাই লোহা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগে দোকানের এক কর্মিকে তুলে নিয়ে ইলেকট্রিক শক দেবার অভিযোগ উঠল দোকান মালিকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত দোকান মালিকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশী শুরু করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ।অভিযুক্ত গোলাম রব্বানীর ভাই এর দাবি দোকানে চুরি করার সময় হাতেনাতে মহম্মদ শরীফকে ধরা হয়েছিল। হাতেনাতে ধরা পড়ায় এখন সে নাটক করছে। অভিযুক্ত মহম্মদ শরীফ সহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিধাননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, বিধানগর থানার দার্জিলিং জেলার মুরালীগছ গ্রামে ভাঙরীর দোকান আছে তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামী গোলাম রব্বানী নামে এক ব্যাক্তির। সেখানে শ্রমিকের কাজ করতো মহম্মদ শরীফ নামে এক চোপড়ার মেন্দাবস্তির যুবক। দিন কয়েক আগে গোলাম রব্বানীর একটি চোরাই ভাঙরী লোহা নিয়ে যাবার সময় পুলিশ গাড়ি সহ ভাঙরী লোহা বাজেয়াপ্ত করে। সোমবার রাতে গোলাম রব্বানীকে ফোন করে মহম্মদ শরীফকে চোপড়া থানার কলাগছে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে মহম্মদ শরীফের উপর অমানুষিক অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে। শরীফের পরিবারের কাছে দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। পরিবারের লোকে দুই লক্ষ টাকা নিয়ে গোপন ডেরায় পৌছে টাকা দিয়ে মহম্মদ শরীফকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।অভিযুক্ত গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে চোপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মহম্মদ শরীফের পরিবারের অভিযোগ মানতে রাজী হন নি গোলাম রব্বানীর পরিবার।