হাইকোর্টের নির্দেশেই পুলিশের বিরুদ্ধেই থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পরলো। ইসলামপুর থানার আই সি সহ মোট ৭ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করলেন ইসলামপুরে গত অক্টোবর মাসে চুরির ঘটনায় অভিযুক্তের স্ত্রী। উল্লেখ্য গত অক্টোবর মাসের ২৭ তারিখে ইসলামপুর পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গুরুদাস সাহার বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহাজামাল ওরফে সুরাজ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশি হেফাজতে নেয় ইসলামপুর থানার পুলিশ। শুধু তাই নয় অভিযুক্তের স্ত্রীকে ও থানায় এনে বেধড়ক মারধর করে ইসলামপুর থানার পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ। এই ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে থাকা সাহাজামাল ও তার স্ত্রী পুলিশের মারে গুরুতর ভাবে জখম হয়। এরপর পুলিশ সাহাজামালকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য। সাহাজামালের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের রেফার করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরিবারের লোকজনের দাবি পুলিশের মারে সাহাজামালের দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এরপর সাহাজামালের স্ত্রী সুবিচার চেয়ে কোলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে। কোলকাতা হাইকোর্ট গত ৫ জানুয়ারি পুলিশের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করার জন্য নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের নির্দেশে রবিবার ইসলামপুর থানার আই সি সহ মোট ৭ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সাহাজামালের স্ত্রী।