রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে চোপড়ার ঐতিহ্যবাহী বার্নি মেলা । বুধবার ১২ই ফেব্রুয়ারি শুরু হতে চলেছে ১৩৯ তম দলুয়া মেলা যা বার্নি মেলা নামে পরিচিত। তারই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার পরিদর্শনে আসেন ডিএসপি রাহুল বর্মন ও চোপড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জিয়ারুল রহমান । শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে । শতাব্দী প্রাচীন এই মেলা নিয়ে বরাবরই উন্মাদনা রয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। এই মেলার এবার ১৩৯ তম বর্ষ। মাঘীপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে প্রতি বছর মাঘ মাসের পূর্ণিমাতে শুরু হয়। মেলার উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা যায়, আজ রাতে পুজো শুরু হবে, ১২ ফেব্রুয়ারি মেলা বসবে। ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীরা এসে উপস্থিত হয়েছেন । দুই চার দিন আগে থেকেই জায়গা চিহ্নিত করতে শুরু করেছিলেন ব্যবসায়ীরা ।
মেলাটির বৈশিষ্ট্য হল, মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পুন্যাথিরা চোপড়ার উত্তরবাহী ডাউক নদীতে পুণ্যস্নান করে দোলুয়া মেলার শিবমন্দির, রাধাগোবিন্দ মন্দির এবং মগর বাহিনী মা গঙ্গা মন্দিরে পুজো দেন। ইতিমধ্যেই দূর দূরান্ত থেকে দোকানপাট ও সাধু-সন্তদের আগমন শুরু হয়েছে । মেলায় আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোতায়ন করা হবে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবক । এই প্রথমবার এই মেলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে । ইসলামপুর সিস্টার এন্ড ব্রাদার সোসাইটির সহযোগিতায় মন্দির কমিটির উদ্যোগে এ রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । মেলা নিয়ে কি বললেন চোপড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জিয়ারুল রহমান চলুন শুনে নেব ।