কি নিয়ে বিতর্ক???
মাধ্যমিক টেস্ট পেপারস এ আজাদ কাশ্মীর ইস্যুতে সপ্তম চড়লো রাজনৈতিক তরজা। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে শুরু হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আয়োজিত মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য স্কুলে স্কুলে পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে পর্ষদ প্রকাশিত টেষ্ট পেপারস। ওই টেষ্ট পেপারস এর একটি ইতিহাস প্রশ্ন ঘিরেই দানা বেঁধেছে বিতর্কের। টেস্ট পেপারস এর ১৩২ পাতায় মালদা জেলার একটি প্রশ্নপত্রর একটি মানচিত্রে পড়ুয়াদের “আজাদ কাশ্মীর” চিহ্নিত করতে বলা হয়।
পরে এই প্রশ্নই হয়ে যায় ভাইরাল।
কি বললেন বিরোধী নেতারা?
পরীক্ষার প্রশ্ন ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী মানসিকতা তৈরির অভিযোগ জানান রাজ্যের বিজেপি নেতারা।
রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব সুকান্ত মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষ তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে গোটা বিষয়ের নিন্দা করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।
তৃণমূল মুখপাত্র বললেন
তৃণমূল রাজ্য প্রবক্তা কুণাল ঘোষ বলেন, “যারা একাজ করেছেন, ভুল করেছেন। আমরা এ ধরণের কাজ সমর্থন করি না।”
প্রধানশিক্ষক বললেন
অভিযুক্ত স্কুল রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের প্রধানশিক্ষক স্বামী তপাহারা নন্দ বলেন, “এর পেছনে কোনো নেতিবাচক চিন্তা নেই। শুধু একটি ঐতিহাসিক সত্যই বলা হয়েছে। আমরা স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ অনুসরণ করি এবং ছাত্রদের মধ্যে জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেম জাগ্রত করার চেষ্টা করি”।
বোর্ড সভাপতি বললেন
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রধান রামানুজ গাঙ্গুলি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন যে একটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, “আমরা একটি তদন্ত শুরু করেছি যার পরে আমরা ভুলটি সংশোধন করব এবং ব্যাখ্যা দেব। আমরা ভুলটির পিছনে যারা আছে তাদের কাছ থেকে আমরা একটি প্রতিক্রিয়া চাইব এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি আরও বলেন, ইতিহাসের শিক্ষকের পরিবর্তে একজন শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক দৃশ্যত ত্রুটিপূর্ণ প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন। কিন্তু যেহেতু বইটি ইতিমধ্যে রাজ্যের স্কুলগুলিতে বিতরণ করা হয়েছে, তাই এই পর্যায়ে এটি ফেরত নেওয়া সম্ভব নয়।