
রবি আড্ডায় শৌভিক রায়
প্রথম পর্ব
বিহুর অসম। নাকি অসমের বিহু?
কূট তর্ক থাক।
উদ্দেশ্য ছিল দুটো। কাজিরাঙ্গার অরণ্য আর বৈশাখের রঙালি বিহু দেখা।

কোচবিহার থেকে বেরোলাম যখন, তখন চৈত্র শেষের প্রবল বৃষ্টি। রাতের ঝড়ে রাস্তায় পড়ে গাছের ভাঙা ডাল।

কোচবিহার থেকে পথ ছিল তুফানগঞ্জ – বক্সিহাট – গৌরীপুর – চাপর – শালমারা – বঙাইগাঁ – বরপেটা – রঙ্গিয়া – তেজপুর – কাজিরাঙ্গা।

রঙ্গিয়া পার হতেই মন খারাপ হয়ে গেল। অন্য কারণে নয়। এতদিন পরে এলাম বলে। সে গল্প অবশ্য আলাদা।

লম্বা পথ। প্রায় সাড়ে পাঁচশো কিমি। কুরবানের ওয়াগনারে লাগবে প্রায় বারো ঘন্টা। কিন্তু ঢেকিয়াজুলির হোটেলে ব্রহ্মপুত্রের শিলঘরিয়া মাছের সুস্বাদু ঝোল আর তেজপুরে কোলিয়াভোমরা সেতুর অনবদ্য শোভা বুঝতেই দেয়নি সেই ভোর থেকে চলছি সড়কপথে। শিলঘরিয়া মাছের নামে বেশ একটা বিষয় আছে। নদীর তলদেশের পাথর বা শিলের চারপাশে ঘোরে বলে তার নাকি ওই নাম। ব্রহ্মপুত্র ছাড়া মেলেও না কোথাও। স্থানীয় টক পাতা দিয়ে সেই মাছের ঝোল হয়েও ছিল বেশ!

সন্ধে নাগাদ কাজিরাঙ্গার বাগোরি পৌঁছনোর আগেই বুঝে গেলাম, যে উদ্দেশ্যে এসেছি সেটা সফল। জাতীয় সড়কের ধারেই এভাবে বুনো গণ্ডার আর হাতিকে ঘুরে বেড়াতে দেখিনি কখনও। হামলে পড়ে ছবি তুলে অবশ্য বোকা হয়েছি। কেন, বলব সেটা পরে।

আমাদের আস্তানা রাস্তার ধারের ছোট্ট টিলার ওপর হিলস এন্ড লেকস রিসোর্টে। একটু পুরোনো। কিন্তু ওই যে, পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে।
(ক্রমশ)