
রবি আড্ডায় শৌভিক রায়
(চতুর্থ পর্ব)
অর্কিড পার্কের অনুষ্ঠান শুরু হল সন্ধ্যায়। আগে থেকে টিকিট সংগ্রহ না করলে প্রথম দিকে বসবার সুযোগ পাওয়া যায় না। শুরুতেই ঝংকার নামের বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের ফিউশন। কী নেই তাতে? অসমের ঐতিহ্যবাহী ঢোল থেকে শুরু করে মোষের শিংয়ের পেপা, বাঁশ নির্মিত গগনা, খুটুলি, টোকা, দোতারা, টোকারি, শিফুঙ, নাগারা সহ নানা বাদ্যযন্ত্র। মিনিট দশকের সেই অনুষ্ঠান মুহূর্তেই মন কেড়ে নিল।

এরপর শুরু হল বর্ণময় অসমের বিভিন্ন জনজাতির নৃত্য ও গীত। উল্লেখ্য অসমের জনজাতির মধ্যে রয়েছে বোরো, মিরি, কাৰ্বি, রাভা, কাছারি ইত্যাদি। মঞ্চ ভরে উঠলো তাদের ঘূর্ণন, বাগরুমবার, হামজার, মাটিয়াখাড়া, খামসামসুয়া, দেওধনি, ডোমেদিরাং এবং অতি অবশ্যই বিহু নাচ দিয়ে। এইসব নাচের নামগুলি মঞ্চ থেকে ঘোষিত হচ্ছিল। তখন জেনেছি। যদি কোনও নাম ভুল লিখে থাকি, তবে আগেই ক্ষমা চাইছি। শুনে শুনে লেখায় ভুল হতে পারে নিজের।

অনুষ্ঠান শেষে সঞ্চালক ও শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলবার সুযোগ হয়েছিল। আমরা কোচবিহারের মানুষ শুনে তাঁরা খুব খুশি হলেন। কোচবিহারের মধুপুর সত্ৰ অসমের মানুষদের কাছে পবিত্র স্থান। এখানে শংকরদেবের মন্দিরে তাঁদের নিত্য আগমন। এই জায়গাটির দেখভালও করেন অসম সরকার।

কাজিরাঙ্গা আপাতত এই অবধিই। নদী, পাহাড়, চা বাগান, জনজাতি, বিহু, সবুজ অরণ্য মিলিয়ে কাজিরাঙ্গা যেন এক অলৌকিক ভ্রমণ। শুধু বন্যপ্রাণী নয়, তার সব রূপ-রস-গন্ধ-শব্দ-স্পর্শ নিয়ে কাজিরাঙ্গা এক অসামান্য স্মৃতি হয়ে রইল।

(শেষ)
প্রথম পর্বের লিংক
https://www.facebook.com/share/p/16iSAt9Ats/
দ্বিতীয় পর্বের লিংক-
https://www.facebook.com/share/p/1Ag6AaWKQR/
তৃতীয় পর্বের লিংক-
https://www.facebook.com/share/p/1LJ4WxuoV9/