রবি আড্ডায় শ্যামলী সেনগুপ্ত
অঞ্জলী পট্টনায়ক
(মূল ভাষা–ওডিআ)
অনুবাদ : শ্যামলী সেনগুপ্ত
কখনও অন্তর্বাস পরেনি
আমার বড়মা
তবু তার
সম্বলপুরী ইক্কত-পাড় কস্তা শাড়ির
তলায় একজোড়া দুধের বাটি ছিল…
সারাজীবন পর্দানসীন সেই বাটি দুইটি
একদিন অনাবৃত হল
সেদিন ছেলে আর নাতি
বড়মার পক্ষাঘাতগ্রস্ত দেহটি
মুছে দিচ্ছিল উষ্ণ গরম জলে
গামছা ভিজিয়ে ভিজিয়ে
সময়ের চোয়ালে চর্বিত হল
তাঁর মাতৃত্ব
কখনো পাতলা একটা গামছা দিয়ে
অথবা সামনে খোলা বড়সড় গাউন দিয়ে
ছেলের হাত পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে যেত
মায়ের মন নিয়ে…
ছোট্ট মেয়েটি সহসা বড় হল
ওর চোখে দুনিয়া ক্রমশ রঙিন
মেয়েটি কিছু বুঝে ওঠার আগেই
ওর কুসুমিত বুকের ভার
ওদের মাথায়… একজন তাকে
আড়াল করে রাখল
কোন সাত-তল জলের নীচে
আরেকজন কিনে আনল রঙিন সব ওড়না
মা আর আর ভাই ছাড়া
কেইই বা ভাবতে পারে এসব…
আমাদের সুন্দরী বৌমণি
আরও বেশি সুন্দর হল
যেদিন কর্কট জয় করে
ফিরে এল বুকের দুটি
মাংসপিণ্ডের বিনিময়ে
আগের চেয়েও অধিক
ভালোবাসার পাত্রী এখন
আমাদের বৌমণি…
সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল
পুকুরের পাড়ে বে-ফিকর
শাড়ি বদলে নিত মেয়েরা
বউরা বুকের সঙ্গে লেপ্টে থাকা
ভিজে কাপড় নিয়ে
পৈঠায় পা মাজতো
ক্ষেত থেকে ফিরে সনা কাকা
সেখানেই হাত-পা ধুতো
রঘু জ্যাঠা স্নান শেষে
সূর্য প্রণাম করত
আঁজলায় জল নিয়ে
‘ওঁ জবাকুসুম শঙ্কাসং…’
ছাদে মেলে দেওয়া
শুকনো জামাকাপড়
যত্ন করে তুলে আনত
বাবা ছেলে অথবা ভাইরা
সায়ার আড়ালে নয়
এখন কড়া রোদে
শুকোতে থাকে অন্তর্বাসগুলি…
পাশের বাড়ির
নবম শ্রেণির ছাত্রী
উঁচু স্বরে মুখস্থ করে,
“মানুষ স্তন্যপায়ী প্রাণী
বুকের কিছু চর্বির আস্তর
আর টিস্যু দিয়ে স্তন গঠিত