রবি আড্ডায় সম্রাট দে
প্রতিবাদে আর স্লোগানে ক্রমাগত মিশে যায় নিষেধের হাতছানি।
মানবিক মুখ, আর কিছু মূক
ছাই মেখে রাতের দখলে। লাশকাটা ঘরে শুয়ে হতভাগী আজও অভিমানী।
সামাজিক বুকে কালো ব্যাজ, চোখ-আঁকা রক্তের রঙ, বজ্রের মতো রূপরেখা।
দায়ভার কাঁধে তবু পুরুষের বাধে!
অশুভনাশিনীর কাছে আজও জানা বাকি, নিধনের পাঠ হয় নাই শেখা।
আকাশের দিকে ত্রিশূল উঁচিয়ে মাটি ছিঁড়ে খায় কিছু পথের পাঁচালি।
মিছিলের কলরব, অবরোধ যতসব
নির্বোধে মেনে নিতে পারে। মিছেমিছি নিন্দিত হয়ে গোনে হাততালি।
হাতে অবিরাম প্রতিবাদী শাঁখ ফুঁৎকারে বেজে ওঠে, চিৎকারে ‘রণং দেহী’।
বিচারের বানী, নিভৃতে শাসানি
কানুনের গা ঘেঁষে চলে। তবু আলোমাখা ছায়া প্রতিবাদ এখনও বিদেহী।
পোড়া বাঁশ বাঁশি হতে জানে, সুর ছেড়ে বিবেকের ভিতে পতাকা তোলেনি।
শাসনের যন্ত্র না বা কুমন্ত্র না,
শাসনের যন্ত্রণা বুকে জমা রেখে মেয়ে চুল ছিঁড়ে ছিঁড়ে ছাড়িয়েছে বেণী।