রবি আড্ডায় সুজিত দাস
অগ্নিকোণে রান্নাঘর নেই, আলমারি জুড়ে নিখুঁত হ্যান্ডপ্রিন্ট। বুটিক শাড়িতে কতটাই বা আর রৌদ্র, বলো? তাও পোড়ামাটির রং, অষ্টধাতুর মোটিফ! এই তো ওয়েবসিরিজ আর মাইক্রো আভেন জীবন আমার। এখানে অমন সোনা রোদ কি করে উঠবে, সরোজ-দা?
এই বিভূঁই থেকে এখনও চোখে ভাসে কোর্ট-ময়দান। বিচিত্রানুষ্ঠান। ‘বহিরাগত সিল্পি-সমন্বয়!’ মাইক্রোফোনের সামনে কানঢাকা চুলে কী অদ্ভুত মানাত তোমাকে। ডিটো বচ্চন! এস ডি ও অফিস টপকে, সার্কিট হাউস উজিয়ে এমনকী এগারো বাড়ি ডজ করে, অমন দানাদার আওয়াজ রোয়াল ফলের গাছ ঝাঁকি দিয়ে ফেলত।
মাধব-মোড় থেকে বঞ্চুকামারি অবধি ভেসে যেত সেই ব্যারিটোনে। সুতো দিয়ে কাটা অর্ধেক ডিম উপচে উঠত কুসুমে কুসুমে…
আমার সব রৌদ্র নিভে গেছে অনেকদিন আগে। ঘোড়ানিম গাছ থেকে উড়ে গেছে বসন্তবৌরির ঝাঁক। এই যে মর্স কোডে লিখছি তোমাকে, এটাই আমার হাওয়ায় দুলতে থাকা নিঝুম ধানখেত, স্থলপদ্মের বাগান। এই তরঙ্গ বিহীন আয়তক্ষেত্র জীবন লইয়া আমি এখন কী করিব সরোজ-দা, জানাইও।