রবি আড্ডায় লুৎফর রহমান

বিত্তান্তই শুনুন মাননীয়া,জীবন কোথায় পাব..!
জনমের মত
তাল যাতে কাটে,সেইভাবে প্রথমবার ট্রেনে উঠে বাড়িছাড়া হই

নেমেছিলাম কালীনারায়ণপুর স্টেশনে..!

ওটা এক হল্ট স্টেশনও নয়
আবার সদাগরিস্টেশনও নয়..!
ঠিক অই যেদিকটা রেলসেতু তার নীচে
ফুলের বাজার বসে ওখানে

পুরানো জামা কাপড়ের হাট বসে
যেদিকটা
ফুলিয়া কিম্বা শান্তিপুর যাবার ট্রেনগুলো মুখ উঁচিয়ে চলে যায় এবেলা ওবেলা
তার
এপাশ ওপাশের রেলজমিতে..!

ফুলক্রেতাদের সুখে ভরা মুখগুলো চূর্ণীর জলে টলোমলো দেখাত খুব

আর কাপড়ের হাটে দুঃস্থ ঘরামীরা বসে বসে বেচে যেত
তালশাঁস ফুলকপি ও হাঁসের ডিমের দম!

মানুষ
পথ ধরে আসে পথ ধরে ফিরে যায়।

ছোট হাতে বড় কাজ সেরে
ঐ অদূরে গিয়ে নৌক বেঁধে আসে মহালের তালেবমিঞা…
তাও দেখেছি!

দেখেছি সকলেই বাড়ি যাব বলে ঘরে ফেরে
অথচ
ঐ তো কালীনারায়ণপুর…

আমার ইবাদত ভিন্ন হল বলে হাসিমুখে
ফেলে গেল কুঞ্জের
অধর বেপারী…!

কালীনারায়ণপুর আজো স্টেশন হয়নি
আমিও ভোরে উঠে খুঁজতে বসিনি
কলগেট কিম্বা লাল নীল ও সাদা দোপাটি ফুল…!

আমার যেন হারায়নি কিছু
বরং
নিজেকে বাহাদুর ভেবে হেঁটে হেঁটে চলে গিয়েছি চরমাহাতপুরের দিকে
আজো হাঁটছি নিরন্তর… যেদিকে দেশ আমূল
হয়ে আছে… দুধ হয়ে আছে!

মোহনা,
আমার যেটুকু জীবন
তা আসলে রাণাঘাট পার করে পাওয়া
কালীনারায়ণপুরের
সেই নীরব নিভৃত নদীটুকুই

যা ধরে হেঁটেছি বহু
কিন্তু
পৌঁছনোর আগেই ফুরিয়ে গেছে নদী…

অবেলাও এসেছে

By nb24x7

দিনদুনিয়ার খাসখবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *