রবি আড্ডায় রা জা

বাবার কথা মনে এলে একটা জংধরা সাইকেল বুকের উপর দিয়ে চলে যায়। যেনো পাইন বনের ভয়ার্ত আদর। পাহাড় কুয়াশা, বুদ্ধ নামের বালক। অন্তর্নিহিত রহস্যের হাতছানি। সন্ন্যাসের মোহ কাটিয়ে সংসারে ফিরে জেনেছি অভাব ও শরীর। মধুমিতাদি, তোমার বোন আমার প্রেমে পড়ে বিবাগী হতে চেয়েছিল। আমিও কি তেমন সব বাঁশ বেড়ার সতর্কতা বাঁচিয়ে দু একটা চুমু, বুকে হাত সঞ্চিত রেখেছি! মধুমিতাদি, তুমি মানেই কোনো প্রিয় রঙের স্কুল ফেরত নিষিদ্ধ সুপারি বাগান। নষ্ট বান্ধবীদের আসরে আমি আনকোরা ম্যাজিশিয়ান। লুকোচুরি খেলে যাচ্ছি ফেলে আসা রোদ্দুরে। রিঙ্কুদা, মামুর দোকান, মহাকালপল্লী ঘুড়ি ওড়ানো বিকেল, মহাজাগতিক। কোনো কোনো রাত শুধু পচা মাতালের সঙ্গী। কিছু অন্ধকার দেবপ্রিয়ার মতো অমলিন। স্মৃতির ঘ্রাণ, ব্লার হয়ে আসা দৃষ্টি। প্রতিটি শহর তার সবুজের হত্যাকারী। প্রতিটি শহরে নিজস্ব দুঃখরা নিজের মত করে ভাসে। আর আমরা ক্রমশ বড় হই, বুড়ো হই, ঝুঁকতে থাকি ক্ষয়ে যাওয়ার অভ্যাসে। একটা জং ধরা সাইকেল বিরামহীন ছোটে, ছুটতেই চলে। আমাদের ইহজীবনের ব্যবধান, রাজনৈতিক পার্থক্য, বারুদ রূপে জমাট বাঁধে মানব বোমার স্বপ্নে। মধুমিতাদি, তোমার সঙ্গে অনেক পাপ বাকি রয়ে গেল। তুমি কি এখনও তেমনই মায়াবী? তুমি কি আজও কেবল মুসোলিনির বান্ধবী?

By nb24x7

দিনদুনিয়ার খাসখবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *