রবি আড্ডায় শ্রাবনী ভট্টাচার্য্য

তোমাকে লিখছি যীশু,লিখছি সারা শরীরে ও মনে অসংখ‍্য কাঁটার ক্ষত নিয়ে।শরীরের ক্ষত দৃশ‍্যমান। কিন্তু মনের ক্ষত দৃশ‍্যমানতার বাইরে বয়ে চলা এক শোনিত ধারা। একে ধরা যায় না। অনুভবে গেঁথে নিতে হয় শরীরের কোনে কোনে।আমি যেনো একটা খাড়া পাহাড় বেয়ে ক্রমশঃ উপরে উঠছি। কিন্তু কোথায় যাচ্ছি,কেন যাচ্ছি আমি নিজেই জানি না।যেতে হয় তাই যেনো যাচ্ছি।জানো প্রভু, মেয়েদের হাতে,পায়ে কত পেরেক পোঁতা! কত কর্তব‍্যের কাঁটা,কত সামঝোতার কাঁটা,কত অভিযোগের কাঁটা,অনুযোগের কাঁটা। কত সইতে হয় বলো? মেয়েমানুষ কি মানুষ প্রভু? নাকি একদলা মাংস? স্তন আর যোনী? তুমি শুনেছিলে প্রভু ভরা রাজসভায় দ্রৌপদীর চিৎকার? শুনেছিলে সীতার যন্ত্রনা? বেথলেহাম বলো আর ভারত! মেয়েমানুষ চিরকালের মেয়েমানুষ। তার না আছে কোন দেশ,কোন ধর্ম,বর্ণ,গোত্র,আইন,আদালত। মেয়েমানুষ হাত বদলে কখনো বেগম,কখনো মেরি কখনও বিশ্বাস! প্রভু আপোষের সন্ধিতে আর কতদিন এই নিন্দিত,ধিকৃত জীবন বয়ে বেড়াবো?আর কত ক্ষমা করবো বলো? ক্ষমা করতে করতে আমি নীলকন্ঠ হয়ে যাচ্ছি। আমার সারা শরীরে কি ভীষন বিষ! আমার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে,আমাকে ক্ষত বিক্ষত করে রাষ্ট্র বলে আমি নাকি আত্মহত‍্যা করেছি। ধিক্ এমন রাষ্ট্রকে,এমন আইন ব‍্যবস্থাকে।প্রভু আমার,আর কত পথ পার হলে মেয়েমানুষ মানুষ হবে? মানুষের সন্মান পাবে তুমি বলে দিও।
এত কাঁটার যন্ত্রনা আমি আর সহ‍্য করতে পারছি না।
প্রভু আমার
প্রিয় আমার।

By nb24x7

দিনদুনিয়ার খাসখবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *