
রবি আড্ডায় লুৎফর রহমান
কানার দশ আছে হাতে,দেশলাই আছে,জ্বলে।
তাকে পায়ে হেঁটে পেরতে হয় গাঁওতল গগন,আর ঐ আগুন….
বুকে বসে উলু দেয় প্লাসটিকের শাড়ি– ভরা ব্লাউজ।
ঘুর পথে ঘুরে যায় নৈশকুণাল কখনো,
পিতাপথে আলো দেখায় বালিকামাধব, হবে বা শাশ্বতী , নামে ডাকি জনমে ডাকি ডাকি মরণে , আসে মধ্যরাতের নসুদরবেশ ফুল হাতে।আমানি খায় । রস ও নুন খায় , বসে পাশটিতে।
হয়ত পাখি পায় বন পায় পথে
নৌক দোলে জলের কিনারায়; আর
হোসেনফুল ভেসে যায় নততল হৃদে…
এভাবেই মাদুলি মেলে, মেলে হরিকামলার ঘর,মেলে সুজাতার হরিয়াল হেঁসেল।
জবাফুলে বসেছে কাল পোকা , ক্ষেতি করে জেরে,উড়ে যায় নুন ও আঁশের দুটো পানা,পাশাপাশি রাত বরাবর।
হায় কানা
ক্ষুধা নাও
জ্বর নাও কাশি নাও পরিপাটি
সেঁতু বাঁধো
পেরোও
যেখানে জল পড়ে পাতা নড়ে
কাপড় বোনে নহর তাঁতি অবিরত
দাও তার এক রাতের নিশ্চিন্ত ঘুম
দাও সুজাতার আদর নোলক ও হাসি
এই ধুলো নাও,পথ দাও
সে জানুক
ঘর মানে গাছ। গাছ মানে দোলন আর সুজাতার লতা
ঘর মানে মাটির দেয়াল আর ফসলের কৃষিকাজ
ঘর মানে কানে কানে বলা মরমিগীতার জয়রাধে
ঘর মানে কানাহোসেনের একজন্মের প্রণাম, ও অজয়ের অধিকার। আর বহুদূর থেকে শোনা কাব্যর পিতা ডাক!
এই সেঁতু টলমলে
যেন
দড়ি নেবার আগে হোসেনের হাতে লেখা চিঠি,যেন ঝোলার দুখতলা!
ওগোকানা, ওগো হোসেন,নির্বান্ধব ক’রো না!
দাও দুশ টাকার কাপড় কেনার মুরোদ
দাও ফল কেনার সামর্থ
দাও মিস্টি অষুধ
বুকের বাতাসে গাছ বড় হোক
সুজাতার খন্তায় রক্ত লেগে গেল
নদী গেল পারে!
পাখি ডানা মেলে ওড়ে।