
রবি আড্ডায় রা জা
মা বিষয়ক আলোচনায় আমার গোমাতা ভাবনা আসে না। এই ব্যর্থতা সম্পর্কে এক ভক্তিপরায়ণ প্রাক্তনের সঙ্গে তুমুল বাকবিতণ্ডার পর রাস্তা পাল্টে নিয়েছি। শিখেছি, কেবল প্রতিভাই যথেষ্ট নয়। ছক বুঝে নেওয়া বেশি জরুরী। কতটুকু বলা বারণ, কতখানি পা চাটার পর সূচিপত্রে স্থান পাওয়া যাবে। ভাঁড়ার ও ভাতার সংমিশ্রণে কিভাবে গঠিত হয় আদর্শ প্রচ্ছদ, ইত্যাদি ইত্যাদি…
মার্কেটিং সর্বেসর্বা। সুতরাং আগামী কাব্যগ্রন্থের নাম
‘সানি লিওনের সতীত্ব’ রাখা বাঞ্ছনীয়। শিক্ষামন্ত্রীর সেক্স টয় এর প্রতি সমব্যথী উৎসর্গ পত্র। তবে, যেহেতু আমার ল্যাংটো বয়সে নদী থেকে উঠে আসেনি কুমিরের বাচ্চা। এবং বংশপরম্পরায় আমি মিশকালো ভীতু। কাজেই শেষ পর্যন্ত কতটুকু কি হয়ে উঠবে সন্দেহ আছে। বড়দা আসলে ভুল বলেননি। “বিপ্লব মাড়িয়ে লাভ নেই। বরং গা বাঁচিয়ে চলতে হয়।” আমি উচ্চাকাঙ্ক্ষিত পুরুষাঙ্গ সামলে চলি। বানিয়াদের কল্যাণে নিরামিষাশী এস.এফ. রোডে সংবরণ করি সন্ধ্যের খিদে। ভন্ডের সাধুবেশ, ক্যামেরামুখী ধ্যানের সম্মুখীন মূক ও বধির পন্থা অবলম্বন করি। সাহিত্য- ফাহিত্যের পেছন মাড়িয়ে স্ক্রল করে যাই ডাঁসা বৌদিদের বিভাজিকা। অথচ, এত কিছুর পরেও আমার পরলোকগত বাবার ছবি উল্টে পাল্টে কয়েক হাজার বার দেখে শুধু এক নিম্ন মধ্যবিত্ত বাঙালির প্রতিচ্ছবি পাই। কোনভাবেও, কোন অ্যাঙ্গেল থেকে তাকে ধর্মের ষাঁড় মনে হয়নি