
রবি আড্ডায় রা জা
আঁকার খাতা সন্ধানে আমরা মরা নদী আর তেষ্টা নিয়ে কথা বলেছি বিস্তর। তারপর অ-শরীর প্রসঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে সাজিয়েছি ভ্রষ্ট বিবাহরাত। এখন বিজ্ঞাপন বিরতি চলছে। এখনই সময়। প্রতিশ্রুতির কালো খোলস খুলে রাখো। ‘মিছিলের মুখ’ বদলে নিয়েছে নিজেকে। বদলেছে পতাকার রং। শিরায় উপশিরায় অযথা খুঁজছ লাল। বিশ্বাস বরাবরই কূটনীতি চালিত। দেখো, গির্জা ও গ্যালিলিও, পৃথিবী সবেতেই আছে। গান্ধী এবং গডসের সমাধিতে একই শ্রদ্ধার ফুল
###
গত জীবনে আমরা যখন প্রেমিক ছিলাম, বোকা ছিলাম দারুণ। অজানায় রক্তাক্ত হয়েছি বহুবার। ডাক্তার এইসব বৃত্তান্ত কোথাও লেখেনি ধূর্ত প্রেসক্রিপশনে। বলেনি উদ্বাস্তু শিবিরের আকাশে মানুষখেকো চাঁদ। বারুদ কুয়াশা। সম্প্রীতির দূত ত্রুটিবিহীন দাঙ্গাবাজ। তুমি আমি ওষুধ কিনছি খুব। অসুখ ও দেনা বাড়ছে বাজারে। বাড়ছে আমাদের অপার অন্ধগাঁথা। পর্দায় ঝাঁ চকচকে মুখের মুখোশ। দেবতার ভোট জনিত প্রাণ প্রতিষ্ঠা। তুমি আমি কানে হেডফোন, শান্তির খোঁজ। ভাঙ্গা বুদ্ধের মত আমাদের মন, প্রত্যাশা
###
আমাদের মাঝে যে ধুন্ধুমার যুদ্ধ সমগ্র। বোমা ফাটার মুহূর্ত, মৃত্যু ভয়। যদি কখনো মিথ্যে মনে হয়। মনে হয় প্রশান্তি হোক। নেশা কেটে যাবে। মুছে যাবে হলদে পাতার শিরশির, শীত মায়া। এই বিষাক্ত ইহকাল। মানব পুত্রকে ক্রুশে গেঁথে যাজকেরা পৌঁছে গেছে বিজ্ঞাপন বিরতির ওপারে। সবাই পণ্য, উলঙ্গ সবাই। পরাজিত সৃষ্টিকর্তার দিকে রাষ্ট্রনায়কের উপহাস। তুমি আমি আতঙ্কে ভীষণ পালাচ্ছি গোটা জীবন। ভুলে গেছি, একটা মলিন জন্মদিনের চিঠি এখনো খাম বন্দি অপেক্ষায়। এখনো কোনো সদ্যজাতর নিষ্পাপ আঙ্গুল ছুঁতে চাইছে আমাদের দায়ভারগ্রস্থ হাত
প্রচ্ছদ ফটো : রা জা