
রবি আড্ডায় আফতাব হোসেন
এক দশক পর একটা পরীক্ষা ছিল ,
তাতেও চুড়ান্ত গফিলতি় । দিনে ডাকাতি ।
যোগ্যতা আর সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তো উঠবেই ।
লাল,নীল,সবুজ যাই হোক না কেন পেটের ক্ষিদে কি আর রং বা তারিখে আটকান যায় ।
ঘটা করে ‘ চোর ‘ দের নাম বেরিয়েছে দেখলাম , ক্ল্যারিফিকেশন চলছে কে আসল চোর আর কে চোরের সাথ দিতে গিয়ে চোর , কে আবার চুরি না বুঝে চোর । প্ল্যান এ , বি , সি , ডি সব দেখলাম একসাথে ।
বুঝলাম বাঁশ খেয়েছে , আচোলা…
তবুও বাঙালি রক্ত ,আশা কি ছাড়া যায় । গ্যাস অম্বল আর সিগারেট প্রেমে সিক্স প্যাক পেটের বদলে বুকে উঁকি মারছে ভাতা । বাংলা ভাষার প্রেম প্রীতির উদাহরন দেখলাম আরবীতে বড় বড় করে । বাঙালি মারছে বলে এবঙ্গে একদল ভোট গুনছেন , মুসলমান তাড়িয়ে ও রাজ্যে আর একদল ভোট ইস্তাহার এর টিক দিচ্ছেন নিয়মিত । সবার এত ভাব , তাও রক্সা বন্ধনে ছুটি নাই ।
বিদ্রোহ !
বাঙালি ভুলেই গেছে সে ক্ষুদিরামের জাতের ।
মোবাইলের নেশায় খেলাধুলা ভুলছি । পুলিশ মাস্টার মারছে , মাস্টার ছাত্রের বাপের শত্রু । ডাক্তাররা অনেক আগেই ডাকাত তকমা পেয়েছে দেখে নতুন প্রফেশন এখন সমাজসেবা । কলেজে ভর্তি অর্ধেক এখন । ডিগ্রি মেরুদণ্ডে থাকে না দেখলাম কয়দিনে ।
জাহাঙ্গিরের জাঙ্গীয়ার মাপ থেকে পামির মালভুমি কি মাল তাও জানা,বাবা কাকা যার আছে তাৱাই কুলীন হয় বাদ বাকিব়া মেথর সম্প্রদায় এটাকে পাত্তা না দিয়ে আশা করে থাকা একজনের নাম দেখলাম কাল লিস্টে ।
এদিকে আবার বেলা বোসেরও চাকরি গেল । অঞ্জন দত্ত সেজে কপালে কুঁচকে যাওয়া ভাঁজ দেখবো বলে কতবার তাকালাম বেলা বোসের দিকে ।
গর্বের সিঁদুর ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ল না ।
আপনার কি ?
আপনি ‘ মানকো ভাত ‘ খান ….