
রবি আড্ডায় কৌন্তেয় নাগ
পর্ব – ৪
ভিয়েতনামের খাওয়া দাওয়া,
বলছি ২-৪ কথা, দিন চারেকের অভিজ্ঞতা….
কিছু সুখ, দু:খ,কিছু মনের ব্যথা
বাঙালি খাদ্য রসিক চিরকাল, তাই খাওয়া নিয়ে কিছু লিখবো না তাই হয় নাকি?
অসাধারণ, অতুলনীয় যদি বলি তাহলে সব্বাই ছুটে ভিয়েতনামের খাওয়া শুরু করে দেবেন তেমনও নয়। আসলে কি জানেন এরা মশলা কি জানে না,নামও শোনেনি। নুন, তেল, মিষ্টি কি এরা জানে না।এরা জানে কি ভাবে সেদ্ধ করতে হয়।
কতটা সেদ্ধ করলে ঠিক খাওয়ার উপযুক্ত হয় সেটা জানে।

ভাত দিয়ে এতো কিছু হয় এদের কাছে এসে শিখতে হবে।(খাবারের নাম গুলো ইন্টারনেটে পাবেন ফু,ফা,কুংফু, ইত্যাদি গোছের)
স্বাদ…… জিজ্ঞাসা করবেন না।
আমাদের মাংস রান্না থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে।বলতে খারাপ লাগলেও বলছি এরা বোধহয় আদিমকালে আছে এখনো, মাংস সেদ্ধ আর পোড়ানো ছাড়া কিছু বোঝে না।আমি সব প্রকার খেয়েছি। স্টু, স্টা ,…অসাধারণ।

চিংড়ি অঢেল আছে। কিন্তু মালাইকারির স্বপ্ন দেখবেন না। কত ধরনের মাংস আর মাছ আছে শুনিয়ে লাভ নেই।
সব ধরণের ভেবে নিন।
সত্তর শতাংশ বাঙালি সর্বভুক বলে প্রসিদ্ধ, তাই গলাতে “নো প্রব্লেম” বোর্ড ঝুলানো।
আমাদের রান্না সে দেশের লোক খেলে হসপিটাল থাকতে হবে বেশ কয়েক দিন।কাজেই আমাদের পেট যে পরীক্ষিত সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
চাকা লাগানো বাঙালির পায়েতে ঘোরে পৃথিবী জুড়ে।

❝ ভারতীয় খাবারের দোকান নামেই।
দুধের স্বাদ ঘোলে, পয়সা যাবে জলে ❞
মায়ের হাতের রান্নার স্বাদের স্বপ্ন দেখবেন না।
ঝিনুক যে এতো উপাদেয় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখাতে পরেছিলাম।বেশ কয়েকটা করে খেয়ে নিলাম আমরা, অতুলনীয়। অসময়ের আম খেলাম বেশ লেগেছে।তরমুজ,ড্রাগন ফ্রুটস, কলা,পেয়ারা,বড় কুলের মতন কমলালেবু খুব মিষ্টি। লেটুস পাতা সেদ্ধ ইত্যাদি।
গতকালের লাঞ্চের প্লেটের ছবি দিলাম নিচে।
