নিউজডেস্ক অক্টোবর ২০২৫:
বিগত ১১ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের সময়কালে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রায় ₹১৬ লক্ষ ৩৫ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা ঋণ “লিখে ফেলেছে” (write-off)। এর মধ্যে ₹৯ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা মকুব হয়েছে দেশের বড় শিল্পপতি ও কর্পোরেট সংস্থাগুলোর নামে থাকা ঋণ থেকে—যা দেশের ইতিহাসে অন্যতম সর্বোচ্চ পরিমাণ।
সরকারি ও ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ পর্যন্ত এই বিশাল অঙ্কের ঋণ ব্যালেন্সশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যদিও এর কিছু অংশ পরবর্তীতে পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কার্যত ধনী শিল্পপতিদের জন্য এক প্রকার আর্থিক ছাড়, যেখানে সাধারণ মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্রায়শই ব্যাংকঋণ পরিশোধে কঠোর নিয়মের মুখোমুখি হন।
একই সময়ে সরকার জানায়, এই “write-off” মানেই সম্পূর্ণ ঋণ মাফ নয়, বরং এটি ব্যাংকের হিসাব থেকে “অপসারণ”; তবে পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা খুবই কম। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি—প্রায় ₹২.৩৬ লক্ষ কোটি—ঋণ বাদ দেওয়া হয়, আর ২০২৩-২৪ সালে সেই অঙ্ক ছিল প্রায় ₹১.৭০ লক্ষ কোটি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বড় শিল্প ও পরিষেবা খাতেই এই ছাড়ের সর্বাধিক অংশ গেছে, যার প্রভাব দেশের আর্থিক ভারসাম্যের উপর দীর্ঘমেয়াদে পড়তে পারে।