রায়গঞ্জ বন্যপ্রান অভয়ারণ্য বা কুলিক পক্ষীনিবাস কেন্দ্র যা অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষিত হয় 1985 সালে। এটি এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পক্ষী নিবাস কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

অবস্থান:

এই পক্ষী নিবাস কেন্দ্রটি উত্তর দিনাজপুর জেলার সদর শহর রায়গঞ্জে অবস্থিত। NH 12( পূর্বতন 34নং) এই পাখিরালয়ের পাশ দিয়ে চলেছে। রায়গঞ্জ থেকে কলকাতা 425 কিমি (264 মাইল) এবং শিলিগুড়ি থেকে 181 কিমি (112 মাইল) দূরে অবস্থিত।

জলবায়ু :

ক্রান্তিয় মৌসুমি জলবায়ুর অন্তর্গত ভারতের পূব দিকে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলায় অবস্থান করায় কুলিক পক্ষী নিবাস কেন্দ্রের জলবায়ুতে স্বাভাবিক ভাবেই ক্রান্তিয় মৌসুমির প্রভাব লক্ষনীয়। তাপমাত্রা এখানে গ্রীষ্মে – সর্বোচ্চ 40 ডিগ্রি সেলসিয়াস , সর্বনিম্ন 21ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতে সর্বোচ্চ 22 ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন 5 ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টিপাত 1550 মিলিমিটার (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর)।

কুলিক ফরেস্টের ইতিহাস:

1970 সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই এলাকার উন্নতি ঘটা শুরু হয়। প্রকল্পের মাধ্যমে কদম, জারুল, শিশু এবং ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানো হয় এই এলাকাশ। ছানা তোলার সময় এশীয় শামুকখোল এবং অন্যান্য পরিযায়ী পাখির প্রজাতিগুলো কৃত্রিম বাগানে ঘোরাঘুরি করে। 1985 সালে অফিসিয়ালি “রায়গঞ্জ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এটি কুলিক পক্ষী অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত কারণ কুলিক নদী অভয়ারণ্যটির পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।আর এই নদীর নাম অনুযায়ী এর নামকরণ করা হয়।

জীব বৈচিত্র্য:

এই পাখিরালয়ে 164 প্রজাতির পাখির আবাসস্থল রয়েছে। 2002 সালে শুমারি অনুসারে, সেবছর 77012টি পাখি অভয়ারণ্যটি পরিভ্রমণ করে। 2003সালে, সংখ্যাটি বাড়ে এবং 81384 টিতে উন্নীত হয়। 2008 সালের শুমারি অনুসারে 91540 টি পাখি অভয়ারণ্যটি পরিভ্রমণ করে এবং এই পাখিরালয়ে প্রতিবছর প্রায় 70,000 থেকে 80,000 পরিযায়ী পাখি আসে।

এই বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যে স্থানীয় কিছু প্রাণী যেমন, শিয়াল, খেঁকশিয়াল, খরগোশ, বনবিড়াল,বিভিন্ন ধরনের সাপ প্রভৃতি আশ্রয় পেয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকার কাঁকড়া ও মাছ পাওয়া যায়। প্রতি বছর জুন মাস থেকে অভয়ারণ্যটি পরিযায়ী পাখিতে ভরে যায়। এশীয় শামুকখোল, বক, পানকৌড়ি ইত্যাদি পাখি দেখা যায়।

পর্যটন:

এই পক্ষীনিবাস কেন্দ্রে প্রতিবছর পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। নানা প্রজাতির পাখি দেখতে ভারত তথা বিদেশ থেকে পর্যটকেরা এখানে আসেন৷ এখানে পর্যটকদের থাকার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন বিভাগের অতিথিশালা রয়েছে৷ এছাড়া রায়গঞ্জ শহরে বিভিন্ন দামের একাধিক হোটেল আছে৷ ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়কালে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের বিভিন্ন জেলা থেকে অজস্র দর্শনার্থী অভয়ারণ্যটি ভ্রমণ করতে আসে। সড়ক পথ, রেল পথের মাধ্যমে খুব সহজেই এই স্থানে পৌ

By nb24x7

দিনদুনিয়ার খাসখবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *