ওয়েস্ট বেঙ্গল বায়োডাইভার্সিটি বোর্ড-র অর্থানুকূল্যে এক দিনের আলোচনা সভা “ইমপ্যাক্ট অফ বিহেভিয়ারেল চেঞ্জ অন দ্য এনভায়রনমেন্ট এন্ড বায়োডাইভারসিটি” সাফল্যের সাথে অনুষ্ঠিত হলো রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয়ে। উদ্যেশ্য ছিল পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের আচরণগত পরিবর্তন আনা। গতকাল বোটানী ও জুওলজি বিভাগের যৌথ পরিচালনায় এবং আই কিউ এসি র সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হয় এই কার্যক্রম।
আলোচনা সভার শুরুতে উদ্বোধনী ভাষণে অধ্যক্ষ ডঃ চন্দন রায় বলেন রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয়ের এক পক্ষ কালব্যাপী যে পরিবেশ সচেতনতা কর্মসুচী নিয়েছিল তার ই অন্তিম দিনে এই আলোচনা সভা উদ্দীপিত করবে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীবৃন্দ সহ কলেজের সক্কলকে। এই সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে যাবে সমাজেও আর তাতেই সমাজের আচরণ গত পার্থক্য ঘটতে শুরু করবে। আর পরিবেশ আর জলবায়ুর যে সঙ্কট তা ত আর অস্বীকার করার জায়গা নেই, তাই মানুষের চেতনাদয় হওয়া একান্ত জরুরী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদার শোভানগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. হরিস্বামী দাস। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং পরিবেশবিদ শিক্ষারত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত ড. দাস জানান বিপণ্য প্রজাতি গুলোর সংরক্ষণ, বৃষ্টির জল ধরা, বর্জ্য পদার্থ ব্যবস্থাপনা, বৃক্ষরোপণে উৎসাহদান, শক্তির সংরক্ষণ, বিকল্প শক্তির ব্যবহার বিষয়ে ছাত্র ছাত্রীদের উৎসাহিত করেই এই জৈব বৈচিত্রের সঙ্কট মোচন করা সম্ভব। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জুলজি বিভাগের প্রধান ডঃ প্রিয়াঞ্জলী ব্যানার্জি এবং আই কিউ এ সি কোঅর্ডিনেটর ডঃ অভিনন্দন দাস।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল বায়োডাইভার্সিটি বোর্ড-র শমীক গুচ্ছাইত এবং মহঃ মইমুন হাবিব । তাদের বক্তব্যে উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গের মাছ চাষের বৈচিত্যের কথা এবং জৈব-বৈচিত্র্য সংরক্ষোণের কথা। ছাত্রীদের মধ্যে মৌমিতা দাসের প্রাঞ্জল বক্তব্য সকলের নজর টানে। অনুষ্ঠান টি সুসঞ্চালনা করে জুলজি বিভাগের অধ্যাপক ডঃ অরিজিৎ পাল।
অনুষ্ঠানের মাঝে ছাত্রছাত্রীদের জন্য ছিল জৈব-বৈচিত্র্য নিয়ে বিশেষ কুইজ প্রতিযোগিতা যেখানে বিভিন্ন বিভাগ থেকে ছাত্রছাত্রীরা পুরস্কার জিতে নেন। এছাড়াও ফলাফল প্রকাশ হয় পক্ষকালীনব্যাপী চলা ক্লিন এণ্ড গ্রীন ড্রাইভের ওপর। কলেজের শিক্ষাকর্মী বিভাগ প্রথম পুরস্কার জিতে নেন এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় আসন জিতে নেন যথাক্রমে শিক্ষাবিজ্ঞান এবং বোটানী বিভাগ। এছাড়াও প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ সাতটি বিভাগ কে এবং দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ তিনটি বিভাগকেও পুরস্কৃত করেন অধ্যক্ষ ডঃ চন্দন রায়। তিনি বলেন এই জয় রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয়ের জয়।