বিবাহিত এক প্রাক্তন ছাত্রীকে শ্বশুড় বাড়ি থেকে তুলে আনার অভিযোগ উঠলো বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের বাইরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। ছাত্রীর দাবী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন ।।অভিযুক্ত শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহনের দাবিতে অবিভাবকরা প্রধান শিক্ষককে স্মারকলিপি দেয়।ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর চোপড়া ব্লকের সোনাপুরহাট মহাত্মাগান্ধী উচ্চ বিদ্যালয়।

সূত্রের খবর, সোনাপুর হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী গত ১০ ডিসেম্বর মালদা জেলার একলাখিতে সামাজিক মতে বিবাহ করে। বিবাহের পর দশমঙ্গল সহ অন্য সামাজিক কাজ করে মেয়ে শ্বশুড় বাড়িতে যায়। গত ১৭ জানুয়ারি সোনারপুরহাট মহাত্মা গান্ধী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক ওই প্রাক্তন ছাত্রীকে শ্বশুড়বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসেন বলে অভিযোগ। প্রাক্তন ছাত্রীর শ্বশুড়বাড়ির থেকে মেয়ের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। প্রাক্তন ছাত্রীর মা শিক্ষকের এই কাজের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার অভিযুক্ত শিক্ষক বিদ্যালয়ে গেলে সেই প্রাক্তন ছাত্রীর অবিভাবকরা ও গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে শারিরিকভাবে হেণস্থা করেন। ক্ষিপ্ত অবিভাবক ও গ্রামবাসীদের হাত থেকে কোনক্রমে পালিয়ে বাঁচেন।

প্রাক্তন ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, বিয়ের আগেই মেয়ের কাছ থেকে সম্পর্ক নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল।মেয়ে কারও সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে। একথা জানার পরই মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। রেজিষ্ট্রির ছয় মাস পর সামাজিক মতে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।বিয়ে সমস্ত কাজ শেষ হবার পর সোনাপুরহাট মহাত্মাগান্ধী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রবি সরকার মেয়েকে শ্বশুড়বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তার বাড়িতে রেখেছেন।একথা জানার পরই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হলেও মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় পুলিশ তার অভিযোগ গ্রহণ করেন নি। বাধ্য হয়েই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দ্বারস্থ হন।বুধবার বিদ্যালয়ের তরফ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে ডেকে পাঠিয়ে তারকাছে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চান।

অভিযুক্ত শিক্ষক ঘটনার কথা অস্বীকার করেন।তিনি জানান, তার সম্পর্কে এই অভিযোগ আনা আনা হচ্ছে এটা মিথ্যে।। মেয়েকে বিদ্যালয়ে এনে তাঁর মুখোমুখি বসানোর দাবি করেন তিনি। অবিভাবকরা তাকে শারিরিকভাবে নিগৃহৃত করেন বলে অভিযোগ

সেই প্রাক্তন ছাত্রী বলেন, আমাকে জোর করে আমার পরিবার মালদাতে বিয়ে দেয়। শ্বশুর বাড়িতে আমি কোনভাবেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিলাম না।। তাই আমি সেখান থেকে পালিয়ে শিলিগুড়ি চলে যাই এবং সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতাম। শিলিগুড়ি যাওয়ার আগে আমি চোপড়া থানাতেও জানিয়েছিলাম। একজন শিক্ষকের সাথে ছাত্রির যা সম্পর্ক থাকে আমাদের সেই সম্পর্কই আছে।। ওনার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।

। বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন স্বাভাবিক রাখতে, ছাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধ্রুব কুমার তিওয়ারি কঠোর হাতে মোকাবিলা করার আশ্বাস দিয়েছেন।অভিযুক্ত শিক্ষক ঘটনার কথা অস্বীকার করলেও তার বক্তব্যে তারা সন্তষ্ট হতে পারেন নি।বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতির উপস্থিতিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে ডেকে পাঠাবেন বলে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। এই ঘটনায় বিদ্যালয়ে সুনামের উপর আঘাত আসবে বলে প্রধান শিক্ষক মনে করেন

By nb24x7

দিনদুনিয়ার খাসখবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *