স্বর্ণা দাস
গ্রাম বা গ্রামের পুজোর স্বাদ আমার জানা নেই, জন্ম ইস্তক শহরের চোখ ধাঁধানো আলোয় পুজো কাটে আমার, একটা চেনা গলি, একটা চেনা পাড়া চেনা বারান্দা সেজে ওঠে আলোর মুসাফিরে। হেমন্তের শিরশির করা শরীরে গা মেলে দেয় মানুষ। আবহমান বঙ্গ জীবনের পাঁচালি গাঁথা হয় মেলা ফিরতি মানুষের পাঁপড় ভাজা আর তেলেভাজায়। এতো আলো এতো আলো চোখ পুড়ে যায়। পুড়ুক তবুও কাছে থাকুক মানুষ। সময় না দিতে পারা পরিবারের সব থেকে উড়নচণ্ডী মেয়েটাও অপেক্ষা করে অষ্টমীর সকালে শাড়ি পড়ে মায়ের সাথে প্যান্ডেল যাবার। বাবার নতুন জামা পড়া একটা ছবির জন্য বছর ধরে অপেক্ষা চলে সপ্তমীর সন্ধ্যার। ভুলে যাওয়া প্রাক্তনের সঙ্গে আচমকায় দেখা হয় মিশন গেটে, অভিমানের বরফ গলে। সারাবছর ফোন না করা বন্ধুকেউ অনায়াসে বলা যায় ভাই একটা প্ল্যান কর নবমীতে।
আমি হারিয়ে যায়, আলো আলো আর আলোর সম্ভাবনায়…