রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয় এর সঙ্গে মৌচুক্তি (Memorandum of Understanding) স্বাক্ষরিত হল কালিয়াগঞ্জ কলেজের।
মৌচুক্তির পর থেকে দুটি কলেজ র মধ্যে নানা যৌথ আলোচনা সভা, ফ্যাকাল্টি এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে জোর কদমে। দুটি কলেজ ই আসন্ন ন্যাকে (NAAC)পরীক্ষা দিতে নেমেছে। তারই প্রস্তুতি আর মহড়া চলছে এইসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
২৯শে মে কালিয়াগঞ্জ কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক তুষার কান্তি কর্মকার রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয় এ আসেন ইংরেজি ও প্রাণিবিদ্যা দ্বারা আয়োজিত একদিবসীয় একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখতে। বিষয় ছিল “প্ল্যানেটারি থিংকিং ইন দ্য এনথ্রোপসিন: এ লিটারারি এনকোয়ারি”। অর্থাৎ যে সময়ের মধ্যে মানুষের কার্যকলাপ পৃথিবীতে পরিবেশগত প্রভাব ফেলেছে তাকে ভূতাত্ত্বিক যুগ ধরে, তারই অনুসন্ধান চালান অধ্যাপক কর্মকার বিভিন্ন ইংরেজি সাহিত্যের উদাহরণ সহযোগে। দীপেশ চক্রবর্তীর ‘গ্লোব এবং প্ল্যানেট’ ধারণা দুটির ফারাক করেন তিনি এবং ব্যাখ্যা করেন কিভাবে পৃথিবীতে মানুষ তার নিজের ক্ষমতা দিয়ে বাকি সমস্ত জীব ও উদ্ভিদকূলকে বিপদের মধ্যে ফেলেছে। সাহিত্য ও সিনেমায় খুব কম ই এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, আধুনিককালে অমিতাভ ঘোষের দ্য লিভিং মাউন্টেন এর প্রসঙ্গ টেনে অধ্যাপক কর্মকার বলেন পর্বত এবং মানুষের সম্পর্ক যেমন জীবন্ত দেখানো হয়েছে, সেই ভাবেই মানুষকে বাকি পৃথিবীর প্রাণী ও উদ্ভিদকূলকে আপন করে নিতে হবে। এই অনুভূতি জাগাতে হবে নিজের ভেতর থেকে, নইলে এই জলবায়ু পরিবর্তনের অপপ্রভাব থেকে মানুষের রক্ষা নেই। নিজের সভ্যতার বৃদ্ধির জন্য মানুষ নির্বিচারে প্রকৃতিকে শোষণ করে এখন তার প্রতিফল পাচ্ছে।
“হাতে হাত ধরে সাফল্যের পথে এগোবে দুটি কলেজ”,
ড. চন্দন রায়, অধ্যক্ষ, রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজ
অধ্যক্ষ ড. চন্দন রায় জানান পরিবেশ সংক্রান্ত এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মধ্যে দিয়েই রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয় র আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস পালন সপ্তাহের সূচনা হয়ে গেল আজ কলেজে। আগামী ৭দিন ধরে প্রতিটি বিভাগ ও কলেজ অফিস পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নের অভিযান চালাবে। তা থেকে শিক্ষা নেবে ছাত্রছাত্রীরা। এভাবে গোটা সমাজকেই পরিচ্ছন্ন ও সবুজ করে তুলবে তারা।
আই. কিউ এ.সি. কোওর্ডিনেটর ড. অভিনন্দন দাস ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে জানান শিল্পবিপ্লব র সময় থেকেই উপিনিবেশিক শাসকেরা দূষণ শুরু করেন এবং শাসিত দেশে সেই দূষণ চালনা করে দেন, যা হয়ত আজও চলেছে। প্রশ্নোত্তর পর্বে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. শুভংকর পাল অধ্যাপক কর্মকার কে বহু যুক্তির ব্যখ্যা চান, যার যোগ্য জবাব দিয়ে আলোচনাসভা কে প্রাণবন্ত করে তোলেন অধ্যাপক কর্মকার। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুসঞ্চালনা করেন অধ্যাপক টিঙ্কু দাস। উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি ও জুলজি বিভাগের প্রধান অনিন্দ্র বিশ্বাস ও ড. প্রিয়াঞ্জলি ব্যানার্জি। দু’ঘন্টার অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।