জমি বিবাদের জেরে পাঁচ বিঘা জমির ভুট্টায় ট্রাক্টর চালিয়ে মাটিতে মিশয়ে দিল একদল দুস্কৃতি। ঘটনাটি ঘটেছে করনদিঘি থানার বাড়োল গ্রামে । এমন ঘটনায় চাষিদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে করনদিঘিতে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, আবুল তপের কাছ থেকে ফেকু মহম্মদ ও তার স্ত্রী সাহাজাদী বিবি বছর দশেক আগে পাঁচ বিঘা জমি কেনার জন্য টাকা বিনিময় করেন। জমিদাতা তাকে মাত্র আট শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয় তখন। বাকি জমি রেজিষ্ট্রি পরে দেবেন বলে জানায়। আব্দুল তপ জীবিত থাকা কালিন পাঁচ বিঘা জমিতেই দীর্ঘ দশ বছর থেকে চাষ আবাদ করতে আসছিলেন ফেকু মহম্মদ।অভিযোগ আব্দুল তপের মৃত্যুর পরে তার উত্তোরাধিকারদের জমি রেজিষ্ট্রি করার জন্য চাপ দেয় ফেকু মহম্মদ । আজ কাল করে দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হলেও জমি রেজিষ্ট্রী করে দেয়নি ফেকু মহম্মদকে অলে অভিযোগ । মাস দুয়েক আগে ফেকু মহম্মদ জমিতে চাষ দিয়ে ভুট্টা রোপন করেন। বুধবার দুপুরে জমি মাপঝোক করতে আসেন আমিন। জমিতে ভুট্টা থাকায় তিনি ফিরে যান। তার পরে গ্রাম্য শালিসি বসে। সেখান থেকেই আব্দুল তপের ছেলে আব্দুল সামাদ,ফইজুদ্দীন আনোয়ারুল বাবুল হক ও আইনালের ছেলে জানারুল হক মিলে হাটু সমান ভুট্টা গাছ ট্রাক্টর চালিয়ে পাঁচ বিঘা জমির ভুট্টার গাছ মাটিতে মিশিয়ে দেয়। এতেই গ্রাম বাসিদের একাংশ ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রাক্টর আটক করে রাখে। ফেকু মহম্মদের অভিযোগ ,তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত করনদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সেফাৎ ও আলতাপুর ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য হায়াত আলির হুকুমেই দুস্কৃতিরা আমার ভুট্টার জমিতে চাষ দিয়ে সমস্ত ভুট্টা মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সেফাত আলি বলেন আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। এবিষয়ে করনদিঘি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ফেকু মহম্মদ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে করনদিঘি থানার পুলিশ। করণদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সেফাৎ আলি কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।