পুলক জোয়ারদার


উত্তরবঙ্গে শীতের আমেজ বজায় থাকলেও বেশীর ভাগ জায়গায় তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। প্রথম ফ্ল্যাশ এর শেষের দিকে চাপান (খোল গুঁড়ো +ডি এ পি +ম্যাগসালফ )দিতে হবে এবং ফুল কেটে বাদ দিয়ে, চাপানের সাত দিন পর থেকে রাসায়নিক খাবার শুরু করতে হবে। বর্ষার আগে গাছ বাড়িয়ে নেবার এটাই উপযুক্ত সময়, সুতরাং গাছের শারীরিক ভাষা বুঝে ph নিয়ন্ত্রণ এবং খাবার দেবার ব্যাপারে কৃপণতা দেখানো চলবেনা।গরমে গাছকে স্নান (আপাতত দুবারই যথেষ্ট )এবং মিডিয়ায় যেন জলের ঘাটতি না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে পুরোনো গোবর সার চেলে নিয়ে তার সঙ্গে পাতা পচা সার মিশিয়েএক ইঞ্চি পরিমান মালচিং করে দিতে হবে। মোদ্দা কথা গাছের বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে মিডিয়া শুকিয়ে যাওয়া আটকাতেই হবে। আর একটি কথা এই সময়ে রিপট করার প্রয়োজন নেই এপ্রিল এ করা যেতে পারে, এবং ততদিন গাছবাড়তে থাকুক বেসাল ছাড়ছে কিনা সেটাওদেখে নেওয়া যাবে। কারণ রিপট করলেই বৃদ্ধি ব্যাহত হবে। তবে ছোট টব থেকে এক সাইজ বড় টবে গাছ ও শিকড়কে ডিস্টার্ব না করে রিপট করা যেতে পারে। এই ধরণের রিপটের ক্ষেত্রেও অন্ততঃ সাত দিন রুট ট্রিটমেন্ট করে স্বাভাবিক খাবার চালু করতে হবে।গরম এর সঙ্গে পোকামাকড় এর সম্পর্ক আছে এদের আক্রমণ বাড়বে , গাছের বৃদ্ধি যেন কোনোরকম ব্যাহত না হয়-তাই নিয়মিত থ্রিপস ও মাইটস এর ঔষধ স্প্রে করে যেতে হবে। বারে বারে একই ঔষধ ব্যবহার না করে দু একটি বেশী ঔষধ সংগ্রহে রাখতে হবে, যাতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করা যায়। তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি পর্যন্ত খাবার চালাতে অসুবিধা নেই। ভাল কথা বাগান পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবেন এতে রোগ পোকা দমন করতে সুবিধা হবে।
এই সময়ে গাছের ভিতরের দিকের ডালের নিচের পাতা, ব্লাইন্ড শুট ও অপরিণত, দূর্বল ডালের পাতা হলুদ হবেই, ভয় পাবেন না, এটা স্বাভাবিক ঘটনা। মনে রাখতে হবে গোলাপ চিরহরিৎ উদ্ভিদ নয়।এই সময় ফাঙ্গিসাইড ব্যবহার করার খুব একটা প্রয়োজন পড়েনা।
সবাইকে গোলাপ দিবসের শুভেচ্ছা জানাই।

বিশদে গোলাপ চাষ সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন: https://www.facebook.com/groups/3709130192704764/?ref=share&mibextid=NSMWBT

By nb24x7

দিনদুনিয়ার খাসখবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *