নিউজডেস্ক: প্রত্যেক বছরের মত এ বছরও চা বাগানের বোনাস নিয়ে আন্দোলনে শ্রমিকরা।
আজ কুসুমটি চা বাগানের ফ্যাক্টরির সামনে চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। জানা যায় বোনাস নিয়ে প্রত্যেকবারের মতো দ্বিচারিতা করছেন মালিকপক্ষ সেই প্রতিবাদে আন্দোলনে সরব হয় কুসুমটি চা বাগানের শ্রমিকরা, উত্তর দিনাজপুর চা বাগিচা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মজেন্দ্র সিং ওরফে কালু সিংয়ের নেতৃত্বে আন্দোলনে নামেন শ্রমিকেরা, হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব এখনো অব্দি বোনাস না মেলায় উদ্ভিগ্নে রয়েছেন শ্রমিকেরা ।বারংবার টি পার্টের মিটিং বসার পরেও বাগান মালিকদের নানান বাহানা মিটিং ছেড়ে চলে যাওয়ার মতন অভিযোগ উড়ছে, কিন্তু কুড়ি শতাংশ বোনাসের দাবিতেই অনড় চা শ্রমিকরা,
এছাড়াও শ্রমিকদের দাবি শুধু বোনাস নয়, একাধিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় চাষ শ্রমিকেরা, উত্তর দিনাজপুরের মধ্যে ইসলামপুরে কিছুটা চা বাগান থাকলেও চোপড়া ব্লক ৮০ শতাংশ চা বলয় এলাকা বেশিরভাগ মানুষ নির্ভরশীল এই চা বাগানের উপর, সমস্যাটা শুধু এই কুসুমটি চা বাগানেই নয়, চোপড়া ব্লকের একাধিক চা বাগান ও ফ্যাক্টরিগুলোতে একই সমস্যা, কেন হচ্ছে এই সমস্যা? এমনিতেই দুষ্কৃতীদের উৎপাতে ধীরে ধীরে চোপড়া থেকে চা বাগান বিক্রি করে চলে যেতে হয়েছে বহু চা ফ্যাক্টরি ও চা বাগান মালিকদের, কিন্তু চোপড়া ব্লকের মধ্যে সবচেয়ে সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধ বাগান বলতে কুসুম টি, এই বাগান মালিকের বিরুদ্ধে কখনো কোনদিন তেমন কোন অভিযোগ না উঠে আসলেও এবারে সেই বাগানেই বোনাস সহ একাধিক দাবি নিয়ে শ্রমিকদের আন্দোলন করুণ পর্যায়ে, দুবেলা দুমুঠো খাবারের তাগিদে হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে চা বাগান কে দিনের পর দিন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাতো করে শ্রমিকরাই? কিন্তু দেখা যায় সেই শ্রমিকদের খাবারে থাবা বসায় আমলারা, প্রত্যেক বারিত চলে আন্দোলন? আদৌ কি এই চাষ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার যারা মূল কারিগর অর্থাৎ শ্রমিকরা তারা কি তাদের ন্যায্য দাবি সত্যিই পাচ্ছে? নাকি বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের ইউনিয়নদের খপ্পরে পড়ছেন শ্রমিকরা? এই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই গেল?
