আচ্ছা বলুন তো, স্বপ্ন কখনো সত্যি হয়? সত্যিই কি জীবনের সব ইচ্ছে পূরন হয়? শেষ ইচ্ছে কি ঈশ্বর পূরণ করে?? এত প্রশ্ন চিহ্ন দেখে আর্টিকেল পড়াটা বন্ধ করবেন না। আসলে শাহরুখ খানের একটা সিনেমা ওম শান্তি ওম ( Om shanti om) মনে আছে আপনাদের, যে সিনেমার নায়ক বলছেন – (अगर किसी चीज को शिद्दत से चाहो तो पूरी कायनात तुम्हें उससे मिलाने में लग जाती है”)”আপনি যদি সত্যিই কিছু চান, তাহলে পুরো মহাবিশ্ব তার সাথে আপনাকে মিলিয়ে দিতে কাজে লেগে পরে”। সেটাই হয়তো হয়েছে খরদাহর বাসিন্দা শিবানী দেবূর সাথে। ৬০ বছর বয়সী শিবানী দেবী ক্যান্সারের আক্রান্ত। তিনি মারন রোগের শেষ স্টেজে রয়েছেন। ওনার হাতে কদিন আছে সেটা তিনিও জানেন না। শিবানী দেবীর জীবনের শেষ ইচ্ছে প্রিয় নায়ক স্বপ্নের নায়ক শাহরুখ খানকে একবার দেখতে চান। হ্যাঁ শাহরুখ খান, ভারতবর্ষের সেরার সেরা সুপার স্টার শাহরুখ খান। স্বপ্নের নায়ককে একবার দেখতে চেয়ে মানুষ যার মন্নতের সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে থাকে।যার সাক্ষাৎ পাবার জন্য অপেক্ষা করতে আমেরিকার অ্যাম্বাসেডরকেও। কিন্ত শিবানী দেবী যাকে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন তিনি যে মনের রাজা। সেই রাজা শিবানী দেবীর শেষ ইচ্ছে জানতে পেরে নিজের বাড়ি থেকে ভিডিও কল করলেন শাহরুখ খান।৫ কিংবা ১০ মিনিট নয়। পাক্কা আঁধ ঘন্টা কথা বলে গেলেন তিনি। শিবানী দেবীর চিকিৎসার জন্য সাহায্য করবেন। কলকাতায় আসলে শিবানী দেবীর হাতের মাছের ঝোল খাবেন সেটা আবদার করলেন। এটাও বললেন শিবানী দেবীর মেয়ের বিয়েতে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং বাদশা। আচ্ছা কেন এত কিছু করবেন একজন অচেনা মানুষের জন্য কেউ? কেনোই বা কারোর শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় থেকে সময় দেবেন কিং খান? আসলে আজ যে মানুষটা সবার মনের রাজা, যে মানুষটা তার ফ্যানদের নিজের পরিবার বানিয়ে নিয়েছেন সেই মানুষটা কিন্তু নিজের ২৬ বছর বয়সে হারিয়ে ছিলেন নিজের প্রান প্রিয় বাবা মা সবাইকে। আজ এই বাজিগরের জন্য একজন মৃত্যু পথযাত্রি জীবনকে আবার ভালোবাসতে শুরু করলো। বাদশা শিবানী দেবীর শেষ ইচ্ছে পূরণ করে তার পরিবারের অংশ হয়ে গেলো।