বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল কিড স্ট্রিটে বিধায়কদের হস্টেলের সামনে। আজ সকাল ১০টা নাগাদ MLA হস্টেলের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শতাধিক চাকরিপ্রার্থী। কোনওভাবেই যাতে MLA হস্টেল থেকে বিধায়করা বের হতে না পারেন তারজন্য আটকে দেন হস্টেলের গেট। সকাল ১০টা থেকে আটকে পড়েন বিধায়করা। খবর পাওয়া মাত্রই লালবাজার থেকে ঘটনাস্থলে চলে আসে বিরাট পুলিশ বাহিনী। হস্টেলের গেটের সামনে থেকে চাকরিপ্রার্থীদের টেনে হিঁচড়ে চ্যাংদোলা করে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ।
আজই বিধানসভায় নিয়োগের কথা তুলতে হবে’, এই দাবিতে এমএলে হস্টেলের গেটের সামনে বসে পড়েন SLST চাকরিপ্রার্থীরা। এর জেরে MLA হস্টেলের গেট সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ। তারা বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে সরতে না চাইলে তাঁদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজার থানায়।
এই ঘটনার সময়ই চাকরিপ্রার্থীদের সমর্থনে গলা ফাটান বিজেপি বিধায়করাও। বিজেপির একাধিক বিধায়ককে হস্টেলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁরা রাজ্য সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন। পুলিশ টেনে হিঁচড়ে বিক্ষোভকারীদের তুলতে থাকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, নীলাদ্রিশেখর দানা ও শিখা চট্টোপাধ্যায়। পুলিশের উদ্দেশে তাঁদের বলতে শোনা যায়, ‘টানা হেঁচড়া করবেন না। এদের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। এরা আমাদের বাড়ির মেয়ে। এরা পশ্চিমবঙ্গের মেয়ে। অনুরোধ করে তুলুন। এদের দাবি মিটিয়ে তুলুন।’ শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, ‘আজকের ঘটনার জবাব চাইব বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। ঝড় তুলব’।