নিউজডেস্ক: ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সদ্যোজাত বদলের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগকারী ইসলামপুরের অমলঝাড়ি এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ জাবির। তিনি শিশুর ডিএনএ টেস্টের দাবি জানিয়েছেন। জাবির সাহেব বলেন, ২৩ সেপ্টেম্বর আমার স্ত্রী আনওয়ারা বেগমকে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করাই। ভর্তির কিছুক্ষণ পরেই স্ত্রীকে ডেলিভারি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে এক স্টাফ আমাকে জানান ছেলে হয়েছে। এর ১৫-২০ মিনিট পর অন্য একজন স্টাফ আমাকে বলেন, আপনার মেয়ে হয়েছে। দু’জনের ভিন্ন কথায় আমার আশঙ্কা তৈরি হয়। আমার স্ত্রীর কোলে এখন কন্যাসন্তান রয়েছে। এরপর হাসপাতাল সুপারের কাছে শিশুর ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানিয়েছি। দাবির কথা জানাজানি হতেই হাসপাতালের নার্সেরা আমার শিশুর ফুটপ্রিন্ট নেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আমি তাতে বাধা দিয়েছি। অন্যদিকে জানা গেছে, বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রসূতির পরিজন এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে নিয়ে বৈঠক হয় সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গাফিলতির বিষয়টি মেনে নেন এবং শিশুর ডিএনএ টেস্ট করার দাবি মেনে নিয়েছে। মোহাম্মদ জাবির বলেন , হাসপাতালের নিয়ম জন্মের পর শিশুর পায়ের ছাপ নেওয়া । কিন্তু এক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন যে, সেই সময় একজন প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় সেই কারণেই শিশুর পায়ের ছাপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। পন্ডিতপোতা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষে অজিত সরকার বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডিএনএ টেস্টের দাবি মেনে নিয়েছেন এবার ডিএনএ টেস্ট করলেই বোঝা যাবে শিশু বদল হয়েছে কি হয়নি।