হামাগুড়ি দিলেন জেলাশাসকের অফিসের সামনে শিক্ষকরা । বৃহস্পতিবার এমনই এক দৃশ্য চোখে পড়লো উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে জেলা শাসকের অফিসের সামনে। ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক শিক্ষক,শিক্ষিকা ও ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টরা কর্ণজোড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে জেলাশাসকের দপ্তর পর্যন্ত মিছিল করে আসে তারপর জেলা শাসকের অফিসের সামনে বেশ কিছুক্ষন বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তারপরেই হঠাৎ করে শিক্ষকরা জেলা শাসকের দপ্তরের মধ্যে হামাগুড়ি দিতে থাকে এবং পরবর্তীতে হামাগুড়ি দিতে দিতে ডেপুটেশন দিতে যায় । বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন জেলার ৩৫ জন শিক্ষক,শিক্ষিকা ও ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টরা ।

উত্তর দিনাজপুরের প্রায় ৩৫ টি সরকারী বিদ্যালয়ে সমগ্র শিক্ষা মিশনের অন্তর্গত ১১ বছর ধরে নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ১৩ টি বৃত্তিমূলক বিষয়ে (যেমন – অটোমোটিভ , ইনফরমেশন টেকনোলজি, অ্যাপারেল , রিটেল, হেল্থ কেয়ার, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি, কনস্ট্রাকশন, প্লাম্বিং ইত্যাদি) শিক্ষাদান চলছে। সারা রাজ্যে ৭২৬টি বিদ্যালয়ে চলছে।মাধ্যমিকে এই বিষয়গুলি ঐচ্ছিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে মূল ৫ টি বিষয়ের সাথে অন্তর্ভুক্ত । বর্তমান শিক্ষাবর্ষে আরো ৩০ টি সরকারী বিদ্যালয়ে এই বৃত্তিমূলক বিষয়গুলির পঠন পাঠন শুরু হবে। দীর্ঘ ১১ বছর স্কুল শিক্ষা দপ্তর এবং কারিগরী শিক্ষা দপ্তরের সমন্বয়ে “ভোকেশনালাইজেশন অফ স্কুল এডুকেশন” বাস্তবায়িত হচ্ছে কিন্তু এই সরকারী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রাইভেট এজেন্সী দিয়ে পরিচালনার ফলে সম্পূর্নরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন। বিদ্যালয়গুলোতে এই বিষয়গুলির প্রায় ৪ বছর ধরে পাঠ্য পুস্তক মিলছে না, অধিকাংশ বিদ্যালয়ে ল্যাবের পরিকাঠামো ছাড়াই এই হাতে কলমে শেখার গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলি চলছে বলে অভিযোগ করেন, শিক্ষকরা ৩ – ৬ মাস পরে বেতন পান। সামাজিক সুরক্ষা নেই। শিক্ষিকাদের মাতৃত্বকালীন কোনো সুযোগ সুবিধে মেলে না। ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টরা প্রায় ৩ বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না । জেলাশাসকের অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা শাসক হাসনি জেহারা রেশমীর হাতে ডেপুটেশন তুলে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত জেলা শাসকের সাথে শিক্ষকদের প্রায় ১ ঘণ্টা আলোচনা হয়।

By nb24x7

দিনদুনিয়ার খাসখবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *