নিউজডেস্ক: গোয়ালপোখর থানার মদিনা চক এলাকায় তৃনমূল কংগ্রেসে গোষ্ঠী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক জনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনায় ছড়ালে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌছে টহল দিতে শুরু করে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃনমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। বাধ্য হয়েই ড্যামেজ কন্ট্রোলে আসরে নামতে হয় রাজ্যের মন্ত্রী তথা গোয়ালপোখরের তৃনমূল কংগ্রেস বিধায়ক গোলাম রব্বানীকে। আজ সকালে তিনি ইসলামপুর হাসপাতাল মর্গে পৌছে যান।সেখানে মৃতের পরিবারের লোকদের সঙ্গে কথা বলে মৃত মহম্মদ আরিফের বাড়িতে পৌছে যান। মন্ত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে আরিফের বাড়ি পুলিশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। মৃত আরিফের কাকা পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ খলিলের অভিযোগ ,গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ নাজিস নির্বাচনে হেরে যাবার ভয়ে তার ভাইপোকে গুলি করে। যারা গুলি চালানোর সঙ্গে যুক্ত তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন আরিফের কাকা।
শুক্রবার রাতে উত্তর দিনাজপুর গোয়ালপোখর থানার একশো মিটার দূরে মদিনাচক গ্রামে তৃনমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে। সেখানে গুলিতে আহত হয় তিনজন। পরে রাতে আবার গুলির ঘটনা ঘটে। গোয়ালপোখর থানার পুলিশ রক্তাক্ত আরিফকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে। জানা গেছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখেই প্রধান এবং পঞ্চায়েত সদস্যের বিবাদ চলছিল । সেই বিবাদের জেরেই শুক্রবাররেই এই ঘটনা। পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ খলিলের অভিযোগ, গোয়ালপোখর থানা থেকে একশো মিটার দূরে এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটলেও পুলিশ আসে নি। রাজ্যের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক গোলাম রব্বানীকে ঘটনার কথা জানানো হয়। তিনি পুলিশকে ঘটনাস্থলে পৌছানোর নির্দেশ দিলেও কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে পাঠিয়ে গোয়ালপোখর থানা দায় সারে। খলিলবাবুর অভিযোগ, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছালে তার ভাইপোকে প্রান হারাতে হত না। দলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় মন্ত্রী তথা বিধায়ক গোলাম রব্বানী বেশ খানিকটা বিপাকে পড়ে যান। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাতে চলে না যায় তারজন্য শনিবার সকালেই কলকাতা থেকে ইসলামপুরে পৌছে যান। অভিযুক্ত দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। পুলিশ ঘটনার অভিযুক্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করে। ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার বিশপ সরকার পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ খলিলকে লিখিত অভিযোগ জানানোর জন্য আবেদন করেন। পুলিশের নিস্কৃয়তার জন্য তার আত্মীয়দের উপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটায় খলিলবাবু অভিযোগ জানাতে রাজী হন নি। অভিযুক্তদের প্রত্যেকেই গ্রেফতার করার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার বিশপ সরকার। রাজনৈতিক বিরোধকে ধামাচাপা দিতে মন্ত্রী তথা গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রব্বানী অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ নাজিসকে দল থেকে বহিস্কারের কথা ঘোষনা করেন। মন্ত্রী গোলাম রব্বানী জানিয়েছেন, দল এই ঘটনাকে মেনে নেবে না। যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের প্রত্যেককেই গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।