বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সহবাস। সেই ঘটনার পর সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে তরুণী। অপর দিকে বিয়ে করতে রাজি নয় যুবক। বারবার অনুরোধ করে লাভ না হওয়ায় লজ্জায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সেই যুবতী। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার হাপতিয়া গছ গ্রাম পঞ্চায়েতের মদনভিটা এলাকায়। মৃত ওই যুবতীর নাম রনজুনা খাতুন (১৮)। বাড়ি চোপড়া থানার মদনভিটা গ্রামে। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
জানা গিয়েছে, একই গ্রামের আফরোজ আলম নামে এক যুবকের সাথে রনজুনা খাতুনের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সহবাস করেন ওই যুবক বলে অভিযোগ। এরপর ওই যুবতী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। একাধিক বার এবিষয়ে আফরোজ আলম নামে ওই যুবককে বিষয়টি জানালে কোনও সারা না পাওয়ায় মঙ্গলবার আফরোজের বাড়িতে চলে যান ওই যুবতী বলে দাবি মৃতের পরিবারের। তারপর আফরোজ আলমের পরিবারের লোকজন ওই যুবতীকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। বুধবার সকালে লজ্জায় ওই যুবতী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজনেরা চোপড়া থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। এই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন মৃত রনজুনা খাতুনের পরিবার।