ঈদগার নামে দান করা জমি নিজের নামে করে রেখেছে প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি আব্দুল হক।
এই ঘটনায় উত্তপ্ত ছড়িয়ে পড়ে সুজালী কমলাগাঁও অঞ্চলে। এদিন জানা যায়, প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি আব্দুল হক ঈদগা ও মাদ্রাসার নামে জমি জোরপূর্বক গ্রামের লোকের কাছ থেকে নেয়। কিন্তু সেই জমি ঈদগা মাদ্রাসার নামে না করে নিজের নামে করে নেয় আব্দুল হক। সেই জমি বর্তমানের তার নামে রেকর্ড থাকায় গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। এদিন তারা ঢুলিগা কমলাগাও অঞ্চলের সামনে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ৪ নং আসনের জেলা পরিষদের সদস্য মৌসুমি খাতুন এর প্রতিনিধি জাহিদুল হক, ইসলামপুর ব্লকের সহ-সভাপতি কামালুউদ্দিন, সুজালি কমলাগাও অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট আব্দুস সাত্তার, ভাইস প্রেসিডেন্ট মইনুদ্দিন যুব নেতা মোহাম্মদ রব্বানী এছাড়াও অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। এদিন তারা দাবি করেন যদি ঈদগা নামে জমি রেজিস্টি না করে দেয় আব্দুল হক তাহলে সেই জমিতে স্থানীয় বাসিন্দারা নামাজ পড়বে না বলে অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে জেলা পরিষদের মৌসুমী খাতুন এর প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলামের আশ্বাস ও রামগঞ্জ আউটপোস্ট পুলিশ ফাঁড়ির বিশাল পুলিশবাহিনী পুলিশের আশ্বাসে তারা নামাজ পড়তে রাজি হন।
তবে এই বিষয়ে প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি আব্দুল হকের স্ত্রী নূরী বেগম বর্তমানে সুজালী কমলাগাও অঞ্চলের প্রধান জানান, এই জমিটা আমরা নিজের টাকায় কিনেছি। যাতে স্থানীয়রা শান্তি ভাবে নামাজ আদায় করতে পারে।আমরা চাইছি কামারগছ মাজার শরীফের দিন হুজুর সাহেব আসবেন সেদিন আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জমিটা ঈদগাঁও মাদ্রাসার নামে লিখে দিব। তবে যেহেতু জনগণ মানতে নারাজ, দল ও প্রশাসন যেটা করবে আমরা তা মেনে নিব।
