নিউজডেস্ক:  সিপিএম কংগ্রেসের জোটের মিছিলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের এলোপাথাড়িগুলি ও বোমাবর্ষণের ফলে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক থাকায় তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে।

তৃণমূলের আগ্রাসনকে রুখে দিতে বৃহস্পতিবার সকালে দাসপাড়া থেকে পায়ে হেঁটে সিপিএম ও কংগ্রেস জোটের সমর্থকরা চোপড়া বিডিও অফিসের মনোনয়ন জমার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। মিছিলটি দীঘাবানার কাঠালবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে অতর্কিতভাবে ২০-২৫ জনের একটি সশস্ত্র দল ওই নিরস্ত্র মিছিলে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর পাশাপাশি বোমা বর্ষন করে বলে অভিযোগ । পুলিশ দাঁড়িয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা নেয়।

ঘটনার প্রতিবাদে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মোঃ সেলিম বলেন,চোপড়ায় মনোনয়ন দিতে যাবার পথে বাম-কংগ্রেস এর মিছিলের ওপর একদিকে তৃণমূল গুন্ডাদের এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ ও অন্যদিক থেকে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে আমাদের কর্মীদের নিহত ও আহত করেছেন ।তিনি ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে রাজ্যের সর্বত্র আজই প্রতিবাদের ডাক দেন । কলকাতা সহ রাজ্যজুড়ে নির্বাচন কমিশনের অপদার্থতা ও পুলিশ প্রশাসনের একাংশের দলদাসের ভূমিকার বিরুদ্ধে লড়াকু কমরেডদের প্রতি কুর্নিশ জানিয়েছেন ।ওই ঘটনার নিন্দা করে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করার ডাক দেন ।

https://youtube.com/shorts/H3IUK0DTcuw?feature=share

জানা গেছে, মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে সিপিএম এবং কংগ্রেস জোট প্রার্থীরা পায়ে হেঁটে দাসপাড়া থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে চোপড়া বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে মিছিল করে রওনা দেয়। দলীয় সূত্র দাবি করা হয়েছে, গাড়ি নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে গাড়ির উপর বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কায় তারা পায়ে হেটে রওনা দেন। বিরাট সংখ্যক জন সমর্থন নিয়ে মিছিলটি চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমান বাড়ি কাঁঠালবাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে তাদের ওপর আক্রমণ নেমে আসে।

বোমা ,দোনলা বন্দুক, অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র পাশাপাশি বোমা নিয়ে তাদের উপর হামলা করে বলে অভিযোগ । পুলিশ আগে থেকেই হামিদুর রহমানের বাড়ি সামনে নিশ্ছিদ্র প্রহরা দিয়ে রেখেছিল ,তাদের সামনেই চলে হামলা বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের পুলিশ রীতিমতো এসকর্ট করে পালাতে সাহায্য করে । অপরদিকে জোটের মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ নির্বিচারে কাঁদানো গ্যাসের শেল ফাটানোর পাশাপাশি লাঠি চালায়। ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন সেখ ফারুক, মনসুর আলি, নেইমুল হক, নন্দগছ গ্রামের তহিরুল ইসলাম, মার্জিনা খাতুন, এবং মহম্মদ মুস্তাফা। তাদের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মধ্যে মনসুর আলম ও নেইমূল হকের অবস্থা আশঙ্কাজনে থাকায় তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

By nb24x7

দিনদুনিয়ার খাসখবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *