মাদক বিক্রিতে QR কোড, এতদিন বিভিন্ন দোকান বা শপিং মোল গুলিতে কিউআর কোড এর ব্যবহার দেখা যায়। এবার ব্রাউন সুগারের নেশাতেও QR ! এভাবেই উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর থানার ধরমপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার যুবসমাজ ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি এলাকায় ব্রাউন সুগারের কোড নেম স্মাইক। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি নির্মীয়মান ঘরের মধ্যে কিছু যুবক খাটের ওপরে বসে ব্রাউন সুগারের নেশা করছে। ঠিক পাশেই এক যুবক চেয়ার নিয়ে বসে আছে এবং তার সামনে টেবিলেই রয়েছে কিউআর কোড। সেই ভিডিওর সততা যাচাই করিনি news chanal কিন্তু স্হানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভিডিওর সত্যতা স্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধরমপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মালদুয়ার এলাকায় দেদারে চলছে ব্রাউন সুগারের কারবার। যার ফলে যুবসমাজ ঝুঁকে পড়ছে এই মারন নেশার উপর। পাশাপাশি এলাকায় বহু চুরির ঘটনা ঘটছে। অভিযোগ শুধুমাত্র ওই এলাকাই নয়, এই ব্রাউন সুগার পাচার হচ্ছে পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহার,১০০ কিলোমিটার দূরে শিলিগুড়ি সহ অন্যান্য জায়গাতেও।
স্থানিয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এলাকায় যে পরিমাণে ব্রাউন সুগারের কারবার ও নেশা শুরু হয়েছে সত্যিই চিন্তার বিষয়। কিছুদিন পরপর কারো টিউবওয়েল কারো মটর সহ অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি যায়। পুলিশ রেইড মারলেও এরা এই কারবার এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। এসব বন্ধ হওয়া দরকার না হলে গোটা সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে।
অন্যদিকে এবিষয়ে ধরমপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নুর আলম কে জিজ্ঞেস করা তিনি বলেন, অনেকদিন থেকেই ওই এলাকায় ব্রাউন সুগারের কারবার চলছে। যার ফলে যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা এর আগেও পুলিশ প্রশাসন কে জানানোর পাশাপাশি নিজেরাও সামাজিকভাবে এই নেশা বন্ধ করার চেষ্টা করেছি। এর আগে পুলিশের উদ্যোগে অভিযান চালানো হয়। যার ফলে কিছুদিন এলাকায় ব্রাউন সুগারের কারবার বন্ধ থাকলেও আবার শুরু হয়েছে। পুলিশকে বলবো আরো কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। পাশাপাশি যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটি আমি দেখেছি। এটি আমাদের অঞ্চলেরই মালদুয়ার এলাকার ভিডিও।