পারিবারিক অশান্তির জেরে নিজের ভাইকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল দুই ভাই, বোন ও বোন জামাইয়ের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
শুধু তাই নয় রোড দিয়ে মাথায় আঘাতের পর ছোটো ভাই ও দাদার চোখের সামনে চিকিৎসার অভাবে তিল তিল করে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ল মেছো ভাই, এমনি অমানবিক চিত্র ধরা পরল উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলা থানার উত্তর ডাইটন গ্রামে। মৃত ওই ব্যক্তির নাম বীরেন মোদক বয়স আনুমানিক (৪০)। বাড়ি ডালখোলা থানার উত্তর ডাইটন এলাকায়।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক নিহতের অভিযুক্ত ভাইরা। শনিবার ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নিহত বীরেন মোদকের দেহ বাড়ি পৌঁছানোর কান্নায় ভেঙে পড়েন আত্মীয় পরিজনেরা। কোনো পুরুষ মানুষ থাকার কারণে মহিলারাই কাঁদে করে শেষকৃত্যে নিয়ে যেতে দেখে স্হানীয় মুসলিমরা এগিয়ে এলেন, এরপর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা নিহত বীরেন মোদকের দেহ নিয়ে শেষকৃত্যের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন
উল্লেখ্য চলতি মাসের ১৩ তারিখে বাড়ির নালা কাটা নিয়ে বিবাদ বাদে। সন্ধ্যা হতেই সেই বিবাদ চরম আকার নেই। অভিযোগ সেই বিবাদ চলাকালীন দুই ভাই, বোন ও বোন জামাই মিলে আচমকা লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় মেছো ভাই বীরেন মোদকের উপর। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে বাঁশ দিয়ে মেরে হাত ভেঙে দেয় অভিযুক্তরা বলে অভিযোগ। এরপর বীরেন মোদক কে গুরুতর জখম অবস্থায় ডালখোলা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বীরেন মোদক কে শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে রেফার করে চিকিৎসক। কিন্তু টাকার অভাবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল না নিয়ে যেতে পেরে বাড়িতে চিকিৎসা করছিল। মেঝো ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য অনেকেই অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু অভিযুক্তরা আগে থানা থেকে অভিযোগ তুলে নাও তারপর চিকিৎসা করা হবে বলে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। শেষমেশ পরিবারের সদস্যদের চোখের সামনে তিল তিল করে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লেন বীরেন মোদক নামে ওই ব্যক্তি। শুক্রবার ভোরে চিকিৎসার অভাবে মারা যায় বীরেন মোদক। শনিবার ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর দেহটি নিহতের স্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে এই ঘটনায় নিহতের দাদা ও ভাই সহ বেশ কয়েকজনের নামে ডালখোলা থানায় অভিযোগ করেন নিহত বীরেন মোদকের স্ত্রী মন্জা দেবী মোদক। অভিযোগের পর পলাতক অভিযুক্তরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডালখোলা থানার পুলিশ।