Malda : একের পর এক মাধ্যমিক প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় শিরোনামে উঠে এসেছে মালদা জেলা। এবার মানিকচকের আরও এক ছাত্রীর পরীক্ষা বাতিল করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। গত শনিবার ইংরেজি পরীক্ষার দিন এই ছাত্রীটির প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ইংরেজি প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য এই ছাত্রীকে মূল অভিযুক্তের কাঠগড়ায় দাঁড় করায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যার যেরে পরীক্ষা বাতিল হয় ঐ পরীক্ষার্থীর। জানা গেছে, ছাত্রীটি মানিকচকের গোপালপুর হাইস্কুলের ছাত্রী। আজ অর্থাৎ সোমবার ইতিহাস পরীক্ষার দিন মানিকচকের এনায়েতপুর উচ্চবিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে এলেও পর্ষদের নির্দেশমতো ছাত্রীটিকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি।অন্য দিকে নির্দিষ্ট নথিতে স্বাক্ষর করিয়ে ছাত্রীটিকে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজনের দাবি, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সে কোনওভাবে জড়িত নয়। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। ন্যায় বিচার পেতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দিয়েছেন ছাত্রীটির বাবা।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে মানিকচকের এনায়েতপুর হাইস্কুলে। এই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোট সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং কমিটির কর্তারা। ঘটনায় সাতজন পরীক্ষার্থীকে আটক করে মানিকচক থানার পুলিশ। একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ইতি মধ্যেই এই সাত ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা বাতিল করে দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ঘটনায় পর্ষদের তরফে তদন্ত চালিয়ে বিকৃত করা কিউআর কোড উদ্ধার করা হয়। আর সেই প্রশ্নপত্র এই ছাত্রীর বলে পর্ষদ জানতে পারে। এরপরই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়। পরীক্ষা বাতিলের পাশাপাশি ছাত্রীটির অ্যাডমিট কার্ডও বাজেয়াপ্ত করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।