বিয়ের মর্যাদা পাওয়ার জন্য রামগঞ্জের ঢোলোগাছ গ্রামে শশুর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলো এক গৃহবধূ।
উল্লেখ্য ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের অন্তর্গত রামগঞ্জের ঢোলোগছ গ্রামে।
এদিন জানা যায়, বেথবাড়ি গ্রামের মেহেরুন নেশা ও ঢোলোগছ গ্রামের বাসিন্দা হোসেন আলী এদের দুজনের মধ্যে তিন বছরের ভালবাসার সম্পর্ক। ব পরে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের পরিবারের সম্মতি মেনে ইসলামিক রীতি অনুযায়ী দু বছর আগে দুজনের মোহর হয়।
এই মহর হবার পর ছেলের মা ও বাবা চক্রান্ত করে ছেলেকে কাজের উদ্দেশ্যে বাইরে পাঠিয়ে দেয়। ছেলের বাবা মেয়ের বাবাকে বলেন তিন মাসের সময় দিন আমাকে, আমি বাড়ি ঘর তৈরি করে আপনার মেয়েকে নিয়ে আসবো। তিন মাস তো দূরের কথা দু বছর হয়ে গেলেও এখনো ছেলেকে বাড়ি আসতে বা ফোনে কোন রকম যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না মেয়ে ও মেয়ের পরিবারের সাথে এবং এখন তারা এই বিয়েটাকে কোনমতেই মানতে রাজি হচ্ছে না। কয়েকবার পঞ্চায়েতকে নিয়ে সালিশি সভাতে রাজি হলেও তারা এখন এই বিয়েটা কে অস্বীকার করছে। মেয়ের বাবাকে বলছে যে আপনারা আমার থেকে এক দুই লক্ষ টাকা নিয়ে নিন এবং মেয়েটাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিন।
এখন মেয়ের বাবা ও মা সন্তানের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাই কোন রাস্তা খুঁজে না পেয়ে আইনের কাছে দ্বারস্ত হয়েছেন। মেয়ের বাবার দাবি, আমার মেয়ে তার শ্বশুরবাড়িতে ধর্না দিয়েছে। আমি গরিব মানুষ আর কতদিন রাখবো মেয়েকে। ইসলামপুর ব্লকের সহ-সভাপতি বুধূ মোহাম্মদ জানান আমাদের সালিশি সবাই রাজি হলেও তারা এখন মানছে না। মেয়ের বাবার সূত্রে জানতে পাই তারা আইনের কাছে দরদস্ত হয়েছে আইনের উপর পুরো আস্তা রয়েছে তাদের সঠিক বিচার হবে।
অপরদিকে ছেলের মা ছেলে কোথায় আছে জানেন না বলে তিনি জানান। এবং এই বিয়ে সম্পর্কেও তিনি কিছু বলতে পারছেন না।
তবে যতদিন ছেলেটি বাড়িতে না আসছেন এবং সেই মেয়েটিকে মেনে না নিচ্ছেন ততদিন এই মেয়েটি তার শ্বশুরবাড়িতেই থাকবে বলে জানান সেই গৃহবধু।

By nb24x7

দিনদুনিয়ার খাসখবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *